জাতীয়

আ.লীগের দলীয় কোন্দলে ক্ষুব্ধ শেখ হাসিনা

তৈমুর ফারুক তুষার

ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি- জেলা ও মহানগরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরম আকার ধারণ করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশের আট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের দ্রুত এই কোন্দল নিরসনের নির্দেশ দিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব জেলা, মহানগরে বিবদমান নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে সমস্যা সমাধানে কঠোর বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি গতকাল আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের এক সভায় এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, গতকাল স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচন মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরে দলীয় কোন্দল সংক্রান্ত তথ্যের একটি ফাইল বের করেন। সেখান থেকে তিনি বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক জেলার অভ্যন্তরীণ কোন্দলের তথ্য তুলে ধরেন। কোন জেলায় কোন নেতার সঙ্গে কার কোন্দল, সেগুলোর সাম্প্রতিক তথ্য সভায় উপস্থাপন করেন শেখ হাসিনা। তিনি এ সময় টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, ফেনী, রাজশাহীসহ বেশ কয়েকটি জেলার কোন্দলের চিত্র তুলে ধরেন।

সভায় উপস্থিত একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে ওঠায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলে অনেক নেতা সংগঠন নিয়ে ভাবা ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁরা নিজেদের স্বার্থের কারণে দলীয় কোন্দল সৃষ্টি করছেন। এসব বন্ধ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব কোন্দল কমিয়ে আনতে হবে। আট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের এসব বিষয় দ্রুত নিরসন করতে হবে। দরকার হলে বিবদমান নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

আরো পড়ুন:  মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বহীন মন্তব্যের কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন নেতা বলেন, কিছুদিন আগে কোন্দলের কারণে সিরাজগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর পরও বিভিন্ন জেলায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। বিশেষ করে জেলা, মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এর ওপর চলমান স্থানীয় সরকারের পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কোন্দল আরো বেড়ে গেছে। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও এমন গৃহবিবাদে তীব্র অসন্তুষ্ট হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকালের সভায় স্থানীয় সরকারের চতুর্থ ধাপের ৫৬ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। বেশ কয়েকটি পৌরসভায় বর্তমান মেয়রদের বাদ দিয়ে নতুন নেতাদের প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ। কয়েকজন নারীও নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন।

সূত্র: মানবজমিন

আর/০৮:১৪/১৪ জানুয়ারি

Back to top button