অন্যান্য

এবার মডেলিংয়ে দ্রুততম মানবী শিরিন

ঢাকা, ১২ অক্টোবর- মডেলিংয়ের একটা শখ অনেক আগে থেকেই ছিল ট্র্যাকের রাণী শিরিন আক্তারের। রাস্তার মোড়ে কিংবা কোনো ভবনের দেয়ালে বিশাল বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে চোখ আটকে থাকত শিরিনের। দেশের দ্রুততম মানবী ভাবতেন, ‘কখনও যদি আমার ছবিও এভাবে বিলবোর্ডে থাকত’। অনেকদিন পর হলও তার শখটা পূরণ হয়েছে একটি প্রতিষ্ঠানে মডেল হিসেবে কাজ করে।

দশবারের দ্রুততম মানবী শিরিন মডেল হয়েছেন নেসলের ‘মাইলো হোম গ্রাউন্ড চ্যালেঞ্জ’ নামের একটি ক্যাম্পিংয়ে। ১ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের একটি বিজ্ঞাপন ভিডিওতে কাজ করে মডেলিংয়ের নতুন জগতে পা রেখেছেন দেশসেরা এ নারী স্প্রিন্টার। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে উত্তরায় নেসলের নিজস্ব শ্যুটিং স্পটে বিজ্ঞাপনটির ভিডিও ধারণ করা হয়।

মনের মধ্যে থাকা ইচ্ছাটা কিভাবে পূরণ হলো? ‘মন্টু স্যারের (বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু) কাছে নেসলে একজন নারী অ্যাথলেটের নাম চেয়েছিল, যাকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করা যায়। স্যার আমার কথা বলেছিলেন। তারপর আমি তাদের এই বিজ্ঞাপনে কাজ করি। আমার ৫-৬ ঘন্টার মতো সময় লেগেছে সবকিছু মিলিয়ে। নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো, খুব ভালো লেগেছে। আমি উপভোগও করেছি’- বলেছিলেন দেশের দ্রুততম মানবী।

দেশের দ্রুততম মানবী হিসেবে আপনাকে সবাই চেনেন। এবার দেখছেন মডেল হিসেবে। কেমন লাগছে নতুন এই জগতটাকে? ‘আসলে আমার নতুন কিছু করতে ভালো লাগে। আমার আগ্রহ ছিল। এখন সে আগ্রহ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমার অনেক ভালো লাগছে’- বলছিলেন শিরিন আক্তার।

মডেলিংয়ে তো অনেক সম্মানী। আপনার সঙ্গে চুক্তির অর্থের পরিমাণ কত? শিরিন হেসে বললেন, ‘আসলে এখানে টাকা-পয়সাটা বড় কিছু নয়। বড় হলো নতুন কিছু করতে পারাটা। আমি যখন যে কাজটি করি সেটা মন নিয়ে করার চেষ্টা করি। কেমন হয়েছে সেটা জানি না। তবে যারা শ্যুটিং করেছেন তারা প্রশংসা করে বলেছেন- প্রথম হিসেবে অনেক তাড়াতাড়ি করতে পেরেছি। ওরা যত সময় লাগবে ভেবেছিলেন ততো সময় লাগেনি। তারা খুব খুশি। এটাই আমার জন্য অনেক পাওয়া।’

আগামীতে যদি আরো ভালো প্রস্তাব পান তাহলে কি মডেলিংয়ে আরও কাজ করবেন? ‘আমার আগ্রহ আছে। তবে সেটা অবশ্যই অ্যাথলেটিকসে কোনো বিঘ্ন ঘটিয়ে নয়। আমি যদি নিজের প্রধান কাজ অ্যাথলেটিকসের অনুশীলন শেষে সময় পাই, সূচি মেলাতে পারি তাহলে কোচের অনুমতি নিয়ে অবশ্যই করব’- বলছিলেন শিরিন আক্তার।

এ বিজ্ঞাপন ছাড়াও নেসলের সঙ্গে আপনার কোনো চুক্তি হয়েছে? শিরিন বলেন, ‘আসলে ওরা ৩ মাস এই ভিডিওটা তাদের ক্যাম্পিংয়ে ব্যবহার করবে। তার বিনিময়ে একটা সম্মানী আমাকে দিয়েছে। অংকটা নাই বা বললাম।’

কেবল শিরিন আক্তারই নন, এই ‘মাইলো হোম গ্রাউন্ড চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পিংয়ে আরও দুইজন ক্রীড়াবিদকে মডেল হিসেবে নির্বাচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একজন হলেন জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, অন্যজন অ্যাথলেট শামসুজ্জামান আরাফাত।

সূত্র: জাগোনিউজ

আর/০৮:১৪/১২ অক্টোবর

Back to top button