সিলেট

এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ৮ ছাত্রলীগ নেতার বিচার শুরু

সিলেট, ১২ জানুয়ারি- সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দল বেঁধে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। বাদী পক্ষের আইনীবীর কোন আপত্তি না থাকায় আদালত শুনানী শেষে অভিযোগপত্রটি আমলে নেন। মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় অভিযোগপত্রের উপর শুনানী শেষে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরী এই আদেশ দেন।

এরআগে গত রবিবার (১০ জানুয়ারি) একই আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য সময় চাইলে আদালত দুদিনের সময় দেন। এর আগে ৩ জানুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের প্রথম শুনানি শেষে এই তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ওই তারিখেও বাদীপক্ষের আইনজীবী অভিযোগপত্র পর্যালোচনায় সময় প্রার্থনা করেছিলেন। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে মামলার নথিপত্র বাদীপক্ষ না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আবার আবেদন করেন।

আরও পড়ুন :  যতো সম্পদ সিলেট আ.লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমরা আদালত থেকে অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করার জন্য দুদিনর সময় নিয়ে তা পর্যালোচনা করে দেখেছি সকল আসামীকে অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যার জন্য আমরা আপত্তি জানাইনি। অভিযোগপত্রের ব্যাপারে আমরা বাদী পক্ষের আইনজীবী সন্তুষ্ট পোষণ করলে আদালত তা আমলে নেন।

গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক তরুণীকে (২০) দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের শাহপরান থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে ছয় আসামি ও সন্দেহভাজন দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ও র‌্যাব। গ্রেফতারের পর তাদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও মহানগর পুলিশের শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজনকে দল বেঁধে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আসামি রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুমকে ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়। আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন।

সূত্র: সিলেটভিউ২৪

আর/০৮:১৪/১২ জানুয়ারি

Back to top button