জাতীয়

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে পারিবারিক প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার অভিযোগ দুদকে

ঢাকা, ২৬ মে – নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করেছে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।

এবার তার বিরুদ্ধে নিজ ও পরিবারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘প্যাকেজেস কর্পোরেশন লিমিটেডকে’ বেআইনিভাবে সাড়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ প্রদান, ঋণ মওকুফ ও কার্যাদেশ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর কাছে গ্রামীণ ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) প্রদীপ কুমার কুমার সাহা লিখিত এ অভিযোগ দেন। এ সময় ব্যাংকটির আইন উপদেষ্টা মাসুদ আখতারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রদীপ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, ড. ইউনূস ১৯৮৩ সালে বেআইনিভাবে তাঁর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান প্যাকেজেস করপোরেশন লিমিটেডকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সাড়ে ৯ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই ঋণ ও সুদ মওকুফ করেছিলেন। এ ছাড়া তিনি উন্মুক্ত দরপত্র আহবান ছাড়াই উচ্চ দরে গ্রামীণ ব্যাংকের কোটি কোটি টাকার প্রিন্টিং সামগ্রী ছাপানোর কার্যাদেশ প্যাকেজেস করপোরেশনকে দিয়েছিলেন।

প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের ১৯৮৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের নিরীক্ষা করা হয়েছে। এই নিরীক্ষা প্রতিবেদনে এসব দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের চিত্র উঠে এসেছে। তিনি বলেন, ড. ইউনূস ভূমিহীন দরিদ্র মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পরিবর্তে নিজের ভাগ্য উন্নয়ন করেছেন। তাঁরা তাঁর অনিয়মের বিচার চান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, তিনি ৩৫ বছর ধরে গ্রামীণ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ে চাকরি করেছেন। কিন্তু তখন তিনি এসব অন্যায়-অনিয়মের প্রতিবাদ করার সাহস পাননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ–আল–মামুন বলেন, ‘এই অভিযোগ সম্পর্কে আমার জানা নেই। এ ধরনের অভিযোগ যদি করা হয়ে থাকে, তাহলে সেটা সন্দেহজনক। কারণ, ড. ইউনূসকে ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপর ইন্টারনাল অডিট, এক্সটারনাল অডিট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট হলো, তখন কিছু পেল না। এখন এত বছর পর হঠাৎ এ রকম অভিযোগ করা হলে স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে।’

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৬ মে ২০২৪

Back to top button