জাতীয়

ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত ন্যাশনাল ব্যাংকের

ঢাকা, ২৮ এপিল – একীভূতকরণ নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় আমানতকারীদের অনেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। এসবের মধ্যেই এবার ইউসিবির সঙ্গে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। শনিবার (২৭ এপ্রিল) ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত বিষয়ে ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানান, কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ গত ৯ এপ্রিল ইউসিবির সঙ্গে একীভূত হওয়ার কথা বলা হয়। এটা চাপিয়ে দেওয়া হয় ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে শুরু করেছেন। চাপিয়ে দেওয়া একীভূতকরণের এ সিদ্ধান্ত আমাদের (ন্যাশনাল ব্যাংক) পরিচালনা পর্ষদে অনুমোদন হয়নি।

ব্যাংকটির অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ঋণ আদায়ে জোর দেবে। শীর্ষ খেলাপিদের থেকে ঋণ আদায়ে ক্রাশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদেরও বিভিন্ন স্তরে ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হবে।

অন্যদিকে জটিলতা তৈরি হয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বেসিক ব্যাংকের একীভূত হওয়া নিয়েও। এ ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূতকরণ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

একীভূতকরণ নিয়ে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জানান, ৮ থেকে ১০টি ব্যাংক একীভূত করা হবে। এ নিয়ে ব্যাংক খাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে আমানত তুলে নেন এবং এখনো নিচ্ছেন।

গত ১৫ এপ্রিল হঠাৎ করেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক জরুরি ভিত্তিতে জানায়, আপাতত পাঁচটি ব্যাংক একীভূত হবে, এর বাইরে কোনো আবেদন নেওয়া হবে না। এরই মধ্যে এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই করেছে। এছাড়া সিটির ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক, ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল, সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বিডিবিএল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ২৮ এপিল ২০২৪

Back to top button