জাতীয়

অনুমোদনহীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট যাচাই ৩০ জানুয়ারি

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি- জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) অনুমোদন ছাড়া যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত হয়েছেন, তাদের তালিকা আগামী ৩০ জানুয়ারি যাচাই-বাছাই করবে সরকার।

সেদিন সকাল ১০টায় উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় (ইউএনও) এবং মহানগর পর্যায়ে ডেপুটি কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয়ে এই যাচাই-বাছাইয়ের কাজ হবে বলে বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর এই যাচাই-বাছাই হওয়ার কথা থাকলেও তা বদলে ৯ জানুয়ারি করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় সেই তারিখ বদলালো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বলছে, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভারতীয় তালিকা বা লাল মুক্তিবার্তা বা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত ৩৩ ধরনের প্রমাণকে অন্তর্ভুক্ত থাকলে, তার ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন হবে না।

“এ ধরনের কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভুলক্রমে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা জামুকার ওয়েবসাইটে যাচাই-বাছাইযোগ্য তালিকায় প্রকাশিত হয়ে থাকলে, তালিকা হতে নাম বাদ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে বা মহানগরের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যোগাযোগের অনুরোধ করা হল।”

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ৭(ঝ) ধারার ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনুমোদন ছাড়া যেসব বেসামরিক বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট প্রকাশিত হয়েছে, কাউন্সিলের ৭১তম সভায় তা যাচাই-বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত হয়।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের ৭(ঝ) ধারায় প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের কাছে সুপারিশ করার এখতিয়ার এই কাউন্সিলের উপর ন্যস্ত করা আছে।

প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রকাশের অংশ হিসেবে জামুকার অনুমোদন ছাড়া প্রকাশিত বেসামরিক গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই করা হচ্ছে।

মন্ত্রণালয় বলছে, যাচাইয়ের আওতাভুক্ত তালিকা এবং এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (www.molwa.gov.bd) এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েবসাইট (www.jamuka.gov.bd) পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন :  দুই স্কুল থেকে জিয়ার নাম বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল

“এ ধরনের গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কমপক্ষে তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা/সহপ্রশিক্ষণ গ্রহীতা সাক্ষী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

“কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকলে তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তা তিনজন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর সহ-মুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।”

সূত্র: বিডিনিউজ

আর/০৮:১৪/৬ জানুয়ারি

Back to top button