জাতীয়

আগামীকাল দেশের পথে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ

ঢাকা, ২৭ এপিল – অবশেষে অবসান ঘটল সেই প্রতীক্ষার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে ইতোমধ্যে কার্গো লোডিং শেষ করেছে সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’। আর এতে করেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, যাদের অপেক্ষায় পরিবার-স্বজনরা।

জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে কালবেলাকে তিনি বলেন, শনিবার দুবাইয়ের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে থাকা এমভি আবদুল্লাহতে কার্গো (পণ্য) লোড করা শেষ হয়েছে। রোববার দিনের বেলায় জাহাজটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। তবে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাতে তাদের সময় লাগবে আগামী মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে কয়লা খালাস করে এমভি আবদুল্লাহ। তার আগে ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভেড়ে জাহাজটি। তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিংয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ। এর ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি। ১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়। তারপর ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে।

ওই দিন রাতে কবির গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছা পর্যন্ত ইইউএনএভিএফওআরের যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে। সোমালি উপকূল পেরিয়ে এডেন উপসাগর হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে এমভি আবদুল্লাহ। এর মধ্যে মুক্তির পর জাহাজটিকে প্রায় ৪৮০ নটিক্যাল মাইল উচ্চঝুঁকির এলাকা পার হতে হয়েছে।

সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৭ এপিল ২০২৪

Back to top button