ইউরোপ

গাজায় ত্রাণ সরবরাহের জন্য সামুদ্রিক করিডর নির্মাণ করছে ব্রিটিশ নৌবাহিনী

লন্ডন, ০৭ এপিল – অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ পাঠানোর উদ্দেশ্যে নতুন করিডোর তৈরির জন্য ব্রিটিশ র‌য়্যাল নেভির জাহাজ পাঠাবে যুক্তরাজ্য। রোববার (৭ এপ্রিল) এই জাহাজের মাধ্যমে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বহুজাতিক প্রচেষ্টায় গাজার উপকূলে একটি অস্থায়ী সমুদ্র বন্দর তৈরি করা হবে। এই প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র, সাইপ্রাস ও অন্যান্য অংশীদাররাও থাকবে। আগামী মে মাসের শুরুর দিকে নতুন এই করিডর উন্মুক্ত হবে।

এক বিবৃতিতে ক্যামেরুন বলেন, গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ ও সেখানে দুর্ভিক্ষ হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। গাজার মানুষের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ক্যামেরুন জানান, এরই মধ্যে সাইপ্রাস থেকে গাজা পর্যন্ত এই সামুদ্রিক করিডর স্থাপনে সহায়তা সরঞ্জাম ও অন্যান্য খরচ বাবদ ৯০ লাখ ৭০ হাজার ইউরো দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই উদ্যোগে সাইপ্রাসে ত্রাণসামগ্রীর নিরাপত্তা যাচাই করে সরাসরি সমুদ্রপথে গাজায় পাঠানো হবে। এক্ষেত্রে গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি নতুন অস্থায়ী পায়ার বা আশদোদ বন্দর ব্যবহার করা হবে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্র্যান্ট শ্যাপস জানিয়েছেন, গাজা উপকূলে নির্মিত নতুন অস্থায়ী বন্দরে ত্রাণ সরবরাহের জন্য পণ্যবাহী জাহাজ রাখা হবে। সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর সামুদ্রিক রুট তৈরির জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে সাইপ্রাসের পাশাপাশি ফ্লোরিডার ট্যাম্পায় মার্কিন অপারেশনাল সদর দপ্তরের পরিকল্পনা দলের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের সামরিক দল।

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত প্রায় ছয় মাসে এক লাখেরও বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন। জানা গেছে, ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৩ হাজার ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৫ হাজার ৭৫০ জন।

এদিকে, গাজায় হামলার পাশাপাশি সেখানে ত্রাণ সরবরাহেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় বসবাসরত ২২ লাখ ফিলিস্তিনি ভয়াবহ খাদ্যসংকটে পড়েছে। খাবার-পানির অভাবে উপত্যকাটিতে মানুষের মৃত্যুও শুরু হয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৭ এপিল ২০২৪

Back to top button