ফরিদপুর

অস্ত্র মামলা: বরকত-রুবেলের বিচার শুরু

ফরিদপুর, ১১ অক্টোবর- ফরিদপুরের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এই অস্ত্র মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।

রবিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সেলিম মিয়ার আদালতে অস্ত্র আইনে দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য তাদের হাজির করা হয়।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি পিপি দুলাল সরকার বলেন, অস্ত্র আইনে ১৯ এর এ/২১/২৩ ধারায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় অভিযোগ গঠনের জন্য তাদেরকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এর মধ্যে ১৩/২০ নম্বর মামলার আসামি হচ্ছেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল। এছাড়া ১৪/২০ নম্বর আরো একটি মামলায় আসামি হচ্ছেন ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও তার সহযোগী রেজাউল করিম বিপুল।

আরও পড়ুন: ম্যাজিস্ট্রেটকে গালিগালাজের অভিযোগ এমপি নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে

তিনি আরো জানান, নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে জানতে চাওয়া হয় তারা দোষী না নির্দোষ। জবাবে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। আদালত মামলার শুনানির জন্য ১৩/২০ নম্বর মামলায় ২৭ অক্টোবর ও ১৪/২০ নম্বর মামলায় ২ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

মামলার আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বলেন, স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল মামলা নম্বর ১৩ ও ১৪ এর আসামি হিসেবে আদালত তাদের বিরুদ্ধে ১৯ এর ‘এ’ এবং ‘এফ’ ধারায় এবং একইসাথে ২১ এবং ২৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এই মামলা হতে অব্যাহতির আবেদন জানালে আদালত তা খারিজ করে দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুর হতে ৯ জন সহযোগীসহ গ্রেফতার করা হয় সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও রুবেলকে। এ সময় তাদের নিকট হতে নগদ টাকা, মাদকদ্রব্য ও বিভিন্ন মালামালসহ ম্যাগজিন ও গুলিসহ সাতটি অস্ত্র জব্দ করা হয়। পরদিন ৮ জুন কোতোয়ালি থানার এসআই সাখাওয়াত হোসেন ও এসআই আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। এ দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২৭ জুন ও ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা দায়ের করা হয়। অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ধারায় দায়ের করা এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

সূত্র : ইত্তেফাক
এন এইচ, ১১ অক্টোবর

Back to top button