ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর – ৩১ ডিসেম্বর শেষ। ০১ জানুয়ারি শুরু। এভাবেই একটি বছর পার করে নতুন একটি বছরের সূচনা হয়। ইংরেজী ২০২০ শেষ হয়ে ২০২১ শুরু হলো। দেশে দেশে প্রতি বছরই ইংরেজী নতুন বছরের শুরুটা উৎযাপন করা হয় নানা আয়জনে। তবে এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন। পৃথিবীতে চলছে এক মহামারি। যার নাম করোনা ভাইরাস।
করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে থার্টি ফার্স্ট নাইট, তথা খ্রিস্টাব্দ বরণের আয়োজন সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সরকারি নির্দেশনার বরাত দিয়ে ডিএমপি বলছে, ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকায় কোনো ধরনের উন্মুক্ত আয়োজন কিংবা যেকোনো স্থানে জমায়েত ও আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার পর রাজধানীতে সব বার এবং রাত ৮টার পর ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন : বছরের শেষে তুমুল আলোচনায় কানাডার ‘বেগম পাড়া’
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাজধানীর আকাশে আতশবাজি, ফানুস: পটকা-আতশবাজি ফোটানোসহ নানা নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাজধানী যেন আতশবাজীর মহোৎসব হয়েছে। একই সাথে উড়েছে হাজার হাজার ফানুস। রাত ১২ টা ১ মিনিট থেকে ঢাকার অধিকাংশ বাসাবাড়ীর ছাদে আতশবাজী, রঙ-বেরঙের ফানুস উড়িয়ে বর্ষবরণ করতে দেখা যায়। আতশবাজি আর ফানুসের আলোয় উজ্জল হয়ে ওঠে আকাশ। আতশবাজী-পটকার আওয়াজে অনেকে আতংক ও অস্বস্তি বোধ করলেও কিছু করার ছিল না।
এতো পটকা আতশবাজী ফানুস লোকজন পেলো কোথায়? প্রতিবছরই নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দেখা যায় পর্যাপ্ত আতশবাজি ফুটাতে। বরাবরের মত প্রশ্ন থেকেই যায় এতো পটকা আতশবাজী ফানুস লোকজন পেলো কোথায়?
খোজ নিয়ে দেখা গেছে বেশিরভাগ দোকানিরা আগে থেকেই সংগ্রহ করে রেখেছিল। অনেকে পুরানো ঢাকার চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার দোকান থেকে গোপনে সংগ্রহ করতো এগুলো।
সুত্র : বিডি২৪লাইভ
এন এ/ ৩১ ডিসেম্বর