মধ্যপ্রাচ্য

ইসরায়েলি পার্লামেন্টে ঢুকে বিক্ষোভ করলো জিম্মিদের স্বজনরা

জেরুজালেম, ২৩ জানুয়ারি – ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ঢুকে বিক্ষোভ করেলেন ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের কাছে আটক জিম্মিদের স্বজনরা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) জেরুজালেমে নেসেটে সংসদীয় একটি কমিটির অধিবেশন চলাকালে জিম্মিদের স্বজনদের একটি দল সেখানে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করেন। এ সময় তারা আইনপ্রণেতাদের প্রতি প্রিয়জনদের মুক্ত করার প্রচেষ্টা জোরদার করার দাবি জানান। গাজা যুদ্ধের চতুর্থ মাসে প্রায় ২০ জন বিক্ষোভকারীর এই পদক্ষেপ ইসরায়েলে ক্রমবর্ধমান যুদ্ধবিরোধী মতামতের ইঙ্গিত দেয়। খবর রয়টার্সের।

সংবাদ মাধ্যম রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দীর্ঘ সাড়ে তিন মাসেও জিম্মিদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে ইসরায়েল সরকার ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভ থেকে এই পদক্ষেপ নিলেন তারা। অথচ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জিম্মিদের উদ্ধার ও হামাস নির্মূলের অজুহাতে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহতভাবে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী দেশটি।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) সংসদে বিক্ষোভ প্রতিবাদের সময় এক নারীর হাতে গাজায় জিম্মি তার তিন স্বজনের ছবি দেখা যায়। জিম্মি স্বজনদের দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন তিনি। নভেম্বরে দফায় দফায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে কিছু জিম্মিকে মুক্ত করে ইসরায়েল। তবে হামাসের হাতে এখনও গাজায় প্রায় ১৩০ জিম্মি বন্দি রয়েছেন।

নেসেটে ফাইন্যান্স কমিটির আলোচনার সময় সেখানে ঢুকে স্বজনদের মুক্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান ওই নারী। এ সময় কান্না করতে দেখা যায় তাকে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমি কেবল তাদেরকে জীবিত ফিরে পেতে চাই।”

কালো টি-শার্ট পরা অন্য বিক্ষোভকারীদের হাতেও বিভিন্ন দাবি সংবলিত পোস্টার দেখা যায়। একজনের হাতে ‘‘তারা সেখানে মারা গেলে আপনি এখানে বসতে পারবেন না’’ লেখা পোস্টার দেখা যায়। ‘‘তাদের এখনই, এখনই, এখনই মুক্ত করুন’’ স্লোগান দেন তারা। এ সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।

এদিকে, হামাসের সাথে ইসরায়েলের নতুন জিম্মি মুক্তি নিয়ে চুক্তির ব্যাপারে মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে। তবে সেই চুক্তি আলোর মুখ দেখার জোরালো সম্ভাবনা নেই। কারণ ইসরায়েল উপত্যকা থেকে হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

আর হামাস ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি জ্যেষ্ঠ সব ফিলিস্তিনি নাগরিককে মুক্তি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত জিম্মিদের জীবিত বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। এরই মধ্যে হামাসের হাতে বন্দি জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৩ জানুয়ারি ২০২৪

Back to top button