পশ্চিমবঙ্গ

আমার পড়ে যাওয়া কয়েকজন দেখেছেন, উঠে দাঁড়ানো সারা পৃথিবী দেখবে

কলকাতা, ২২ ডিসেম্বর – বর্তমানে তাঁর প্রধান পরিচয় রাজনীতিকের। কিন্তু সাংবাদিক কুণাল ঘোষের কলমের সঙ্গেও বাঙালির পরিচয় কম দিনের নয়। নিত্যদিনের সংবাদ লিখনের সমান্তরালে উপন্যাস কিংবা স্মৃতিকথাতেও সমান সাবলীল তিনি। বৃহস্পতিবার টাকি বয়েজ স্কুলের প্রেক্ষাগৃহে প্রকাশ পেল কুণালের নতুন বই ‘পথের বাঁকে এসে’। বইটির এটাই প্রথম খণ্ড। সংবাদপত্রে প্রতি রবিবার সম্পাদকীয় পাতায় যে কলাম লেখেন তিনি তারই সংকলন গ্রন্থটি।

অনুষ্ঠানে নিজের পরিচিত মেজাজেই দেখা গেল লেখককে। পাশাপাশি মঞ্চ আলো করে রইলেন গুণীজনেরা। ‘সংবাদ প্রতিদিনে’র প্রধান সম্পাদক সৃঞ্জয় বোস, মন্ত্রী ও নাট্যকার ব্রাত্য বসু, রাজ্যের আর এক মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja), সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, সাংবাদিক অনিন্দ্য জানা প্রমুখ। তাঁদের সামনে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কুণাল (Kunal Ghosh) বললেন, ”ছোট হতে পারি, কিন্তু রাজার মেজাজে থাকব। মৃত সৈনিকের পার্ট আমাকে দিয়ে করানো যাবে না। আমাকে পড়ে যেতে দেখেছেন কয়েকজন। উত্থান গোটা পৃথিবীকে দেখিয়ে ছাড়ব। ঈশ্বর যেন শক্তি দেন। তাঁর কাছে প্রার্থনা এই জোর যেন থাকে।”

সৃঞ্জয় বোসের কথাতেও উঠে এল কুণালের সেই লড়াইয়ের কথাই। জানালেন, ”যেখানে পড়েছিলেন এবং সেখান থেকে যেভাবে উঠেছেন, সেটা রীতিমতো কেস স্টাডির বিষয়। রোজ তাঁকে যেভাবে ম্যালাইন করা হয়, তার পরও তিনি যেভাবে রোজ লড়ে যান, সেটাও ‘পথের বাঁকে’তে আসা উচিত।” তাঁর ‘কামব্যাক’ প্রসঙ্গে সাংবাদিক অনিন্দ্য জানা তুলে আনলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, ”সৌরভের মতো কামব্যাক হয়েছে কুণাল ঘোষের। ও রাজনীতির ‘দাদা।’ এমন আমি আগে দেখিনি। মুক্তকণ্ঠে বলছি।”

নারী ও শিশুকল্যাণ এবং শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা বললেন, ”বাস্তব কঠিন। তার মুখোমুখি হওয়াই কেবল নয়, তা লোকের সামনে তুলে ধরার সাহস যদি কারও হয়, তিনি অবশ্যই কুণালদা।” এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, ”কোনও কোনও সাহিত্যিক পারেন সাহিত্যে সংবাদকে আনতে। আবার কোনও সাংবাদিক সংবাদ পরিবেশনে সাহিত্য নিয়ে আসেন। তাই পড়তে পড়তে সংশয় হয় এ কি সাংবাদিকের ভাষা? নাকি সাহিত্যিকের? তার পর বুঝি এটা আসলে কালেক্টিভ কনশাসনেস। মন, হৃদয়, স্মৃতি।”

কুণাল ঘোষের ঝরঝরে, গতিশীল গদ্য সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত। জানালেন, ”লেখার টানে পড়ে গিয়েছি। দেখেছি কুণালের সাংবাদিক জীবন, সাহিত্য জীবন। দুটো লেখা দুরকম। সাংবাদ সংবাদের মতো। সাহিত্য সাহিত্যের মতো। তাই এই আকর্ষণ।”

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আইএ/ ২২ ডিসেম্বর ২০২৩

Back to top button