পশ্চিমবঙ্গ

টাকা দিয়ে কয়েকটা এমএলএ কিনলেই তৃণমূলকে কেনা যায় না: মমতা

কলকাতা, ৩০ ডিসেম্বর- এবার পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র পাল্টা রোড শো করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই রোড শোতে আবারও নোবেল-জয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনকে হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে সরব হলেন তিনি।

মমতা বলেন, ‘কিছুদিন ধরে কুকথায় রবীন্দ্রনাথ-অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বিশ্বভারতী, শান্তিনিকেতনের অপমান করা হচ্ছে।বিশ্বভারতীতে ঘৃণ্য রাজনীতির আমদানি করা হয়েছে। ঘৃণ্য-বিদ্বেষমূলক রাজনীতির আমদানি হয়েছে।’

কয়েকদিন আগেই যে বোলপুরে অমিত শাহ’র রোড শোতে ভিড় উপচে পড়েছিল, সেই জায়গাতেই তৃণমূল নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় জনস্রোত। বীরভূমের রাঙামাটিতে পথ হাঁটলেন তিনি।

মমতা অমিত শাহ’র আক্রমণের জবাব দিলেন পদযাত্রার শেষে জামবুনির সভায়। কটাক্ষ করলেন অমিত শাহ’র আদিবাসীর বাড়িতে খাবার খাওয়ার ঘটনাকে। মমতা বলেছেন, প্রতি সপ্তাহে একবার চাই ফাইভ স্টারের খাবার। অথচ দেখাচ্ছে আদিবাসী বাড়ির খাবার। এভাবে আদিবাসীদের বরং অপমানই করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, আদিবাসীদের অপমান করার অধিকার নেই।

অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন পেয়ে জয়ী হবেন। সুযোগ পেলে সোনার বাংলা গড়বে বিজেপি। সেই দাবিকে কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, নতুন করে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখানোর দরকার নেই। সোনার বাংলার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথই। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলই জয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ’২১ আমাদের গর্ব, ’২১ আমাদের পথ দেখাবে। ‘বহিরাগতদের ঢুকিয়ে দেবে, ভোটার তালিকায় নাম তুলুন।’

তিনি বলেন, ‘গ্রামে বহিরাগত দেখলে, পুলিশে খবর দিন। ভো কাট্টা করে বিরোধীদের উড়িয়ে দিন’। নাম না করে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, এদের দলীয় পতাকা বহন করে এজেন্সির লোকেরা। এদিন টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, ‘কেউ টাকা দিলে গরিব মানুষ নিয়ে নিন। কিন্তু ভোটে ওদের বিদায় দিন।’

তৃণমূলের বেশ কয়েকজন বিধায়ক ও সাংসদ বিজেপিতে সামিল হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মমতা বলেছেন, ‘টাকা দিয়ে কয়েকটা এমএলএ কিনে নিলেই, তৃণমূলকে কেনা যায় না।

বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। বলেছেন, ‘বিজেপির মার্কামারাকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য করে নিয়ে এসেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুরে আমরা এসব করি না।

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চলতি কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে মমতার ভাষণে। তিনি বলেছেন, ‘কৃষকদের আন্দোলন চলছে একমাসের উপর ধরে।’ কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনকে কৃষকদের স্বার্থবিরোধী বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেছেন, ‘কৃষকদের জমির ফসল নিয়ে পালিয়ে যাবে, এই ভারত তৈরি করছে বিজেপি।

সূত্র: সমকাল
আডি/ ৩০ ডিসেম্বর

 

Back to top button