জনতা রাজপথে নেমে তামাশার নির্বাচনের প্রতি গণঅনাস্থা জানিয়েছে
ঢাকা, ০৩ ডিসেম্বর – সরকার ভোটাবিহীন নির্বাচনের অপসংস্কৃতি চালু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি মু. আতাউর রহমান সরকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী বাকশালীরা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য ভোটারবিহীন নির্বাচনের অপসংস্কৃতি চালু করেছে। কিন্তু সচেতন জনতা সরকারের ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসে তামাশার নির্বাচনের প্রতি গণঅনাস্থা জানিয়েছে। তিনি সরকারকে ভাওতাবাজীর নির্বাচনী তফসিল বাতিল করে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান। অন্যথায় এজন্য তাদেরকে চড়ামূল্য দিতে হবে।
সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার, দলের নিবন্ধন পুনর্বহাল এবং আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত ৯ দফার ৪৮ ঘণ্টার লাগাতর অবরোধের সমর্থনে জামায়াতে ঢাকা মহানগরী উত্তরের হাতিরঝিল অঞ্চল আয়োজিত তেজগাঁও-এ রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে এসব কথা বলেন।
আতাউর রহমান সরকার বলেন, সরকার দেশে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা বিরোধী দলীয় আন্দোলনকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে এখন চরমপন্থা অবলম্বন করতে শুরু করেছে। এজন্য তারা বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলা, গণগ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর সারাদেশে প্রায় ২১ হাজার নেতাকমীকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় গ্রেপ্তার করে দেশের এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। পুরাতন মামলায় অতিদ্রুততার সাথে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের সাজা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এসব করে বাকশালী ও মাফিয়া সরকারের শেষ রক্ষা হবে না বরং তাদের সকল সকল ষড়যন্ত্র বালির বাঁধের মত ধ্বসে পড়বে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
