গণমাধ্যমকে মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া ব্যক্তিও নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন
ঢাকা, ০৪ অক্টোবর – বাংলাদেশের গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির আওতায় আসতে পারে- সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে এমন সাক্ষাৎকার দেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ নিয়ে সম্পাদকদের শীর্ষ সংগঠন এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানিয়ে পিটার হাসকে একটি চিঠি দেয়া হয়। এবার সেই চিঠির জবাব দিলেন রাষ্ট্রদূত।
চিঠি দেয়ায় এডিটর্স গিল্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে জবাবে তিনি বলেন, সম্প্রতি চ্যানেল ২৪-এ এক সাক্ষাৎকারে আমার দেওয়া বক্তব্যকে আরও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার সুযোগের প্রশংসা করছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের অধিকার এবং বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের বাক-স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনো সরকারের সমালোচনামূলক মতামত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক এবং সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন ২৪ মে ৩সি ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি নিয়ে বলেছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবার দায়িত্ব রয়েছে- ভোটার, রাজনৈতিক দলসমূহ, সরকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমসহ সবার। সমানভাবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে এই সকল প্রতিষ্ঠান যেন গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে।
সেক্রেটারি ব্লিঙ্কেন নীতিটি সম্পর্কে যোগ করে বলেছেন, “এটি যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যাকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হবে।”
এর মধ্যে যে কেউ অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন, যারা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখার পদক্ষেপ নেয় এবং যদি সেই পদক্ষেপগুলো গণতান্ত্রিক নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সরকার যখন তাদের রিসোর্স এবং সংস্থাকে ব্যবহার করে সেন্সরশিপ, ইন্টারনেট সংযোগকে সীমাবদ্ধ ও সাংবাদিকদের হয়রানি করবে তখন আমরা আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে থাকবো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও আমরা কথা বলবো এবং আমাদের ভিসা নীতি প্রয়োগ করবো।
চিঠির কথা জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিটর্স গিল্ড জানায়, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এবং তাদের রাষ্ট্রদূতের অবস্থানের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চায়। কারণ, তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হিসেবে সুপরিচিত।
উল্লেখ্য, সম্পাদকদের শীর্ষ সংগঠন এডিটরস গিল্ডের পক্ষ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর পিটার হাসকে একটি চিঠি পাঠানো হয়, যে চিঠিতে গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৪ অক্টোবর ২০২৩