প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আস্থা হারিয়ে ইডি অফিসারকে সরাল হাইকোর্ট
কলকাতা, ৩০ সেপ্টেম্বর – প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়! মামলার তদন্ত থেকে ইডির তদন্তকারী আধিকারিক তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দিতে নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার। গত মামলার শুনানিতে ইডির তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি সিনহা।
এমনকি তদন্তকারী আধিকারিকদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এই অবস্থায় অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর মিথিলেশ কুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। আজ শুক্রবার প্রাথমিকে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
মামলার শুনানিতে তিনি স্পষ্ট জানান, তদন্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আস্থা হারিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। আর এরপরেই মামলার তদন্তকারী আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, ইডির শীর্ষ আধিকারিকদের কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও তদন্তে নিয়োগ করতে হবে মিথিলেশ মিশ্রকে। বাংলার কোনও তদন্ত তাকে যেন না দেওয়া হয়। মিথিলেশ কুমার এই ব্যাপারে একেবারেই আত্মবিশ্বাসী নন বলেও পর্যবেক্ষণ বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
এর পাশাপাশি আগামী ৩রা অক্টোবর তদন্ত যাতে যথাযথ ভাবে তদন্ত এগোয় সে ব্যাপারেও এদিন ইডিকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, আগামী ৩ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। যদিও তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন। যদিও এদিন আদালতের নির্দেশের পর তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড কি সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই নজর সবার।
অন্যদিকে মামলার শুনানিতে ইডির তরফে এদিন একটি পাঁচ পাতার রিপোর্ট দেয়। তিনটি সেপারেট টিম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করার জন্য তৈরি হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে তদন্তে কোন চেষ্টার ত্রুটি রাখা হচ্ছে না বলে সওয়ান ইডির আইনজীবীর।
তিনি বলেন, ১৩১ টি কেস মোট আছে। দশ জন অফিসার রয়েছেন। শুরুতে ২২ টি কেস ছিল। আমরা কোন অলসতা বা ফাঁকি দিইনি। ৪৮ কোটি টাকার কাছে উদ্ধার হয়েছে। ইডি দুজনের নাম পেয়েছে তাদের নাম বলা হবে না কারন কেন্দ্রীয় সরকার কোন নিরাপত্তা দেয় না। এই এজেন্সি নিজের দায়িত্ব জানে। ১০ অক্টোবর আরও বড় রিপোর্ট নিয়ে আসব। আদালতকে জানান আইনজীবীর।
সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা
আইএ/ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩