মধ্যপ্রাচ্য

সৌদিতে প্রথম সরকারি সফরে ইসরায়েলি মন্ত্রী

রিয়াদ, ২৬ সেপ্টেম্বর – জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে যোগ দিতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সফর গেছেন ইসরায়েলের পর্যটনমন্ত্রী হাইম কাটজ। সৌদি আরবের ইতিহাসে এটিই প্রথম ইসরায়েলি কোনো মন্ত্রীর সরকারি সফর। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ ‍গুঞ্জনের মধ্যেই দুদিনের সরকারি সফরে রিয়াদ এসেছেন তিনি। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

জাতিসংঘের পর্যটনবিষয়ক সংস্থার একটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে এসেছে ইসরায়েলি একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইসরায়েলের পর্যটনমন্ত্রী হাইম কাটজ। যদিও চলতি বছরের মার্চে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হওয়া একই ধরনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের ভিসা দেয়নি রিয়াদ।

এক বিবৃতিতে হাইম কাটজ বলেছেন, পর্যটন বিভিন্ন দেশের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে। এ খাতে সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের হৃদয়কে মিলিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি সহযোগিতা, পর্যটন ও ইসরায়েলের বৈদেশিক সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করব।

তবে সৌদি সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

এদিকে ইসরায়েল-সৌদি আরব সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গেই দফায় দফায় আলোচনা করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন চাপের মুখে এ বিষয়ে অনেকটা এগিয়ে গেছে দুপক্ষ, এমন গুঞ্জনও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার ৩০ বছর পর প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীর সফরে গেছে সৌদি প্রতিনিধিদল।

আজ মঙ্গলবার পশ্চিম তীরে পৌঁছায় সৌদি প্রতিনিধিদল। তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন ফিলিস্তিনে নিযুক্ত সৌদি অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরি। গত মাসেই তাকে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বর্তমানে ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী দেশ জর্ডানে সৌদি রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এই প্রতিনিধিদল ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও শীর্ষ কূটনীতিক রিয়াদ আল মালিকির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে আরব বিশ্বের চার দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো ও সুদান। এতদিন সে পথে না হাঁটলেও সম্প্রতি মার্কিন চাপের মুখে এ বিষয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে রিয়াদ। গত সপ্তাহে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তারা অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে।

সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা গেলে তা মধ্যপ্রাচ্যে গেম-চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইসরায়েল-সৌদির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারলে, তা বড় কূটনৈতিক বিজয়ই হবে জো বাইডেনের জন্য।

সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Back to top button