নাইজার ছাড়ছে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনারা
নিয়ামে, ২৫ সেপ্টেম্বর – পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারের জান্তা সরকারের চাপের মুখে অবশেষে দেশটি থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনাদের প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স। গতকাল রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। খবর আলজাজিরা।
গত জুলাই মাসের সেনা অভ্যুত্থানে পর থেকে নাইজারের নতুন জান্তা সরকারের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। এ ছাড়া দেশটির জনগণের মধ্যেও ফ্রান্সবিরোধী মনোভাব বেড়ে চলেছে। নাইজার থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহারে রাজধানী নিয়ামির ফরাসি সেনাঘাঁটির সামনে পর্যন্ত বিক্ষোভ করেছেন তারা।
জনগণের ফ্রান্সবিরোধী এই মনোভাবের সুযোগে অভ্যুত্থানের পরপরই ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনাদের নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দেয় জান্তা সরকার। এরপর রাষ্ট্রদূতের ভিসা প্রত্যাহার করে তাকে বহিষ্কার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে জান্তা সরকারের এমন পদক্ষেপের পরও এতদিন নাইজারেই অবস্থান করছিলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত ও সেনারা।
মাখোঁ বলেন, নাইজার থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। কয়েক ঘণ্টা পরই আমাদের রাষ্ট্রদূত ও বেশ কয়েকজন কূটনীতিক ফ্রান্সে ফিরে আসবেন।
তিনি আরও বলেন, নাইজারের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা শেষ হয়েছে। সে দেশে থাকা দেড় হাজার ফরাসি সেনা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই প্রত্যাহার করা হবে। এ কাজ চলতি বছরের শেষ নাগাদ সম্পন্ন হবে।
এদিকে ফরাসি সরকারের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে নাইজারের জান্তা সরকার। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, আজ রোববার আমরা সার্বভৌম নাইজারের প্রতি নেওয়া একটি নতুন পদক্ষেপ উদযাপন করছি। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই পদক্ষেপে নাইজারের মানুষের সংকল্প ও আকাঙ্ক্ষার কথা ফুঠে উঠেছে।
এরে আগে পশ্চিম আফ্রিকার আরও দুটি দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকেও ফরাসি সেনাদের চলে যেতে বলা হয়েছে। নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো—তিনটি দেশই ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩