জাতীয়

পরিবার চায় না তৈমূর তৃণমূল বিএনপিতে যান

কমল খান

ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর – নারায়ণগঞ্জের আলোচিত রাজনীতিক ও সাবেক বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে কাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেবেন তিনি।

তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার কন্যা অন্তরা হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমাদের দলে শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকার যোগ দিচ্ছেন। তারা ভালো পদে থাকবেন বলে আশা করি। দলের গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যানের পাশাপাশি কো-চেয়ারম্যানের পদ থাকছে।

অন্তরা আরও বলেন, বিএনপিকে ভাঙার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। আর যারা যোগ দেবেন তারা বিএনপির কোনো পদে নেই। কাউন্সিলে আরও চমক আছে। আরও অনেকে যোগ দেবেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি দলের রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিলে যে আমরা সরকারের দালাল হয়ে যাব, এটাতো ঠিক নয়। কোনো জোটে আমরা যাব কি না, সেটি ঠিক হয়নি।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তৃণমূল বিএনপির প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে কাউন্সিল করবে দলটি। কাউন্সিলে বিএনপির সাবেক, বহিষ্কৃত ও নিষ্ক্রিয় এক ঝাঁক নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপি আমাকে দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। আমি দল ছাড়িনি। একজন বহিষ্কৃত লোক কত বছর একটা পতাকা টেনে নিতে পারে? এখন আমার পরিচয় কী? মারা গেলে আমার পরিচয় কী হবে? কোন ব্যানারে আমি বক্তব্য দেব। আমার জন্ম রাজপথে। যেহেতু বিএনপি আমাকে বহিষ্কার করেছে, সেহেতু আমাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। আমি সেখানেই যাচ্ছি। আশা করি শীর্ষ পদেই থাকব।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির মতো একটা বড় দলকে কেউ ভাঙতে পারে? এমন চিন্তা আমার নেই। তবে শহীদ জিয়ার আদর্শে রাজনীতিতে আছি থাকবো।

এদিকে বিএনপি চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেয়া বিষয়ে তারই ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুর রহমান খন্দকার খোরশেদ এক বিবৃতিতে জানান, আমাদের পরিবারের একমাত্র ভরসাস্থল ও নীতি নির্ধারক তৈমূর আলম খন্দকার। তবে তার বর্তমান রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি কপোর্রেশনের নিবার্চনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তৈমূর আলম খন্দকার। দেশ—বিদেশে ব্যাপক আলোচিত ওই নিবার্চনে সরকার দলীয় প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ১৬৬ ভোট।

এর আগে ২০০১ সালে বিএনপি—জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে প্রথমে সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল করা হলে তিনি সেই পদ গ্রহণ করেননি। এরপর তাকে বিআরটিসির চেয়ারম্যান করা হয়। তখন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ছিলেন যোগাযোগ মন্ত্রী।

সূত্র: দেশ রূপান্তর
আইএ/ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Back to top button