ইসলাম

যে ৭টি গুরুত্বর পাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ নবীজির

পাপ মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। বান্দা এবং রবের মাঝে দূরত্ব তৈরি করে। পাপের কারণে আমল-ইবাদত থেকে মন উঠে যায়। ইবাদতের প্রতি আগ্রহ থাকে না।পাপের কারণে অন্তর এক ধরনের অন্ধকারে ছেয়ে যায়। তখন আল্লাহর স্মরণ, কোরআন তিলাওয়াত, মসজিদে গমন—এগুলো অনেক কঠিন মনে হয়।

প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে দুনিয়াতেই আল্লাহ তার রিজিককে সংকুচিত করে দেন। পাপের কারণে আল্লাহ তায়ালা জীবনের ও রিজিকের বরকত ছিনিয়ে নেন। সাওবান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘সৎকর্ম ছাড়া অন্য কিছু আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে না এবং দোয়া ছাড়া অন্য কিছুতে তাকদির পরিবর্তন হয় না। মানুষ তার পাপের কারণে প্রাপ্য রিজিক থেকে বঞ্চিত হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস, ৪০২২)

এজন্য পাপ থেকে বেঁচে থাকা জরুরি। আমলের প্রতি যতটা যত্নশীল হওয়া উচিত এর থেকেও বেশি পাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করা উচিত। কারণ, পাপে অভ্যস্ত থাকলে আমল করা কঠিন, পাপই আমলের প্রতি আগ্রহ তৈরির প্রতিবন্ধক। আর আমল করা সহজ হবে পাপ থেকে দূরে থাকলেই।

বিভিন্ন হাদিসে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাপের ধরণ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বুখরি এবং মুসলিমের একটি হাদিসে তিনি ৭ ধরনের পাপ থেকে দূরে থাকার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’সাতটি ধ্বংসকারী কাজ থেকে দূরে থাকো।’

সাহাবিরা বললেন, ’হে আল্লাহর রাসূল! কাজগুলো কী কী?’ তিনি বললেন, –

(১) আল্লাহর সাথে শরীক করা। (২) যাদু। (৩) আল্লাহ তায়ালা যাকে হত্যা করা হারাম করেছেন, শরীয়তসম্মত কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা। (৪) সুদ খাওয়া। (৫) এতিমের সম্পদ গ্রাস করা। (৬) রণক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাওয়া এবং (৭) সরল স্বভাবের সতী-সাধ্বী মুমিন নারীদের অপবাদ বা মিথ্যা কলঙ্ক দেওয়া। (বুখারি, হাদিস, ২৭৬৬, মুসলিম, হাদিস, ২৭২)

আইএ

Back to top button