ঢাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর – দেশে জ্বালানি তেলের যে চাহিদা, তা পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ তেল আমদানি করা হয় বড় বড় জাহাজে করে। এসব মাদার ভেসেল গভীর সমুদ্রে নোঙর করে। এরপর সেগুলো থেকে লাইটার জাহাজে তেল বোঝাই করে নিয়ে আসা হয় খালাসের বন্দরে। এতে করে তেল পরিবহনে অনেক বেশি সময় ব্যয় হয়। উপরন্তু বছরে হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় সরকারের। এ থেকে উত্তরণে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পের অধীনে গভীর সমুদ্রের কুতুবদিয়া থেকে মাতারবাড়ী পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপন করা হয় গভীর সমুদ্রে নোঙর করা মাদার ভেসেল থেকে সরাসরি এ পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল পরিবহনের জন্য। কিন্তু এ পাইপলাইনেরর মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে তেল সরবরাহের প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঝুঁকি নিতে চাইছে না বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। কারণ এক্ষেত্রে যে দক্ষ জনবল দরকার, সেটিরও সংকট রয়েছে। সার্বিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তেল সরবরাহের এ কাজটি তুলে দেওয়া হচ্ছে ‘চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিপিপিইসি) লিমিটেড নামের একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে। সমুদ্র থেকে পাইপলাইনে জ্বালানি তেল খালাস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বাংলাদেশের জন্য একেবারেই নতুন বিষয় হওয়ায় দীর্ঘমেয়াদেই এই অপারেশনাল কার্যক্রম বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে বিপিসি। এক্ষেত্রে কনসালট্যান্টও নিয়োগ করা হয়েছে।
গত ৩ জুলাই মাদার ভেসেল থেকে পাইপলাইনে তেল সরবরাহের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হয় এবং তা ব্যর্থ হয়। সব ঠিক থাকলে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফের এ পরীক্ষা চালানো হবে। সফল হলে অক্টোবরের শেষদিকে অথবা নভেম্বরের শুরুতে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
বিপিসির জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, জ্বালানি খাতে সরকারের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি বড় প্রকল্প হলো বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অধীন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের এসপিএম প্রকল্প। গভীর সমুদ্র থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল খালাসে সরকার এ প্রকল্প হাতে নেয়। দীর্ঘ সময় শেষে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলেও পরীক্ষামূলক তেল সরবরাহ করতে গিয়ে সংকটে পড়ে। প্রকল্পটির পাইপলাইন ছিঁড়ে যাওয়াসহ নানা ক্ষতিসাধন হয়। তবে যেহেতু ইপিসি ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তির নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটেছে, ফলে বিপিসির তেমন আর্থিক ক্ষতি হয়নি। ঠিকাদারকেই এ ক্ষতিপূরণ দিয়ে প্রকল্প চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তবে এ দফায় বিপিসি বা প্রকল্পের মূল কোম্পানি ইস্টার্ন রিফাইনারি পরীক্ষামূূলক তেল সরবরাহ করবে না। আমরা বিদেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেব পরীক্ষামূলক সরবরাহের। এক্ষেত্রে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানই দায়িত্ব পেতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। দীর্ঘমেয়াদে অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনার জন্যও বিদেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
দেশে এত জনবল থাকলেও কেন বিদেশি কোম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গভীর সমুদ্রে, যেখানে জাহাজ থেকে তেল খালাস করা হবে, প্রায় সারাবছই সমুদ্র সেখানে উত্তাল থাকে। একটু ভুল হলেই বড় সংকট সৃষ্টি হতে পারে। আমরা পরীক্ষামূলক তেল সরবরাহ কার্যক্রম চালাতে গিয়েই তা বুঝতে পেরেছি। তিনি বলেন, এসপিএম প্রকল্প আমাদের জন্য নতুন। ফলে এটার অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা
করতে হবে দক্ষ লোকবল দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী দক্ষ কোনো কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়া হবে। অদূর ভবিষতেও এ প্রকল্পে ঝুঁকি রয়েছে। বৈরী আবহাওয়া হলেই তেল খালাসে সংকট তৈরি হবে। ফলে পুরো প্রকল্পটি যাতে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায় বিপিসি সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, সরকারের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর মধ্যে এসপিএম একটি। এটি বাস্তবায়নে সরকারের প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার খরচ হয়েছে। তবে শুরুতেই প্রকল্পটি সংকটে পড়ে। এসপিএম থেকে পাইপলাইনে পরীক্ষামূলক জ্বালানি তেল খালাস করতে গিয়ে বিপত্তি দেখা দেয়। পরে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সমুদ্রে জ্বালানি তেল ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গত জুলাই মাসে একটি তদন্ত কমিটি হয়। সেই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এসপিএম থেকে তেল পাম্পিং শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুপুর পৌনে তিনটার দিকে ‘মোরিং হাওসার’ ছিঁড়ে আলাদা হয়ে যায়। ফলে এসপিএম বয়ার সঙ্গে ট্যাংকারের মুরিং সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি ক্রুড অয়েলের কার্গো হোসটিও ছিঁড়ে দুভাগ হয়ে যায়। যার ফলে জ্বালানি তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার সিপিপিইসি পৃৃথক প্রতিবেদন দেয়। এতে উল্লেখ করা হয়, পরীক্ষামূলক তেল খালাসের সময় স্টারবোর্ড ফরওয়ার্ড টাগ সঠিক জায়গায় ছিল না। এ ছাড়া কাছাকাছি থাকার জন্য এএফটি টাগও ট্যাংকারের নিরাপদ অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি। যার ফলে প্রথম পরীক্ষামূলক তেল খালাস ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আইএলএল জার্মানি প্রায় একই ধরনের মতামত দিয়েছে, বলছে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর। তবে এ ঘটনায় ক্রুড অয়েলবাহী জাহাজ ‘এমটি হোরে’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তেল খালাসের সময় টাগ প্রত্যাহার এবং নিম্নমানের ‘মোরিং রোপ’ থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছে, মোরিং রোপ নিম্নমানের ছিল না। প্রকল্প পরিচালকের দাবি মোরিং রোপ ছিল আমেরিকান ব্যুরো অব শিপিং (এবিএস) কর্তৃক সার্টিফাই করা।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি বিভাগের সচিব ড. মোঃ নুরুল আলম সচিবালয়ে তার দপ্তরে বলেন, এসপিএম প্রকল্পটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপারেশনাল কার্যক্রমে নিয়ে আসতে বিপিসি কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়েই প্রকল্পটি চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, তেল খালাসের বন্দর পর্যন্ত বড় মাদার ভেসেল ভিড়তে না পারার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিদেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেলের জাহাজগুলো গভীর সমুদ্রে নোঙর করে। পরে লাইটার জাহাজে করে এনে তেল খালাস করা হয়। এ পদ্ধতিতে সরকারের বছরে হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় তেল পরিবহনে। এ ছাড়া সিস্টেম লসের নামে চুরি হয়ে আসছে বছরের পর বছর। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে লাইটার জাহাজের দরকার হবে না; সারাদেশে জ্বালানি তেল সরবরাহে গতিশীলতা বাড়বে। প্রতিবছর সরকারের অন্তত ৮শ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। দেশে জ্বালানি তেল সরবরাহ কার্যক্রমে আমূল পরিবর্তন হবে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় খালাস হবে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল, যা খালাসে এখন সময় লাগে ১২ দিন। একই সঙ্গে বাড়বে দেশে জ্বালানি তেলের মজুদ সক্ষমতাও।
বিশ্বের অন্য দেশের মতো আধুনিক জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০১৫ সালে এসপিএম উইথ ডাবল পাইপলাইন প্রকল্প হাতে নেয় ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)। ২০২১ সালের আগস্টে প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। সেই প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের আগস্টের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ হওয়ার কথা। যদিও নির্ধারিত সময়ে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
এসপিএম প্রকল্পটি মহেশখালী দ্বীপের পশ্চিম পাশের্^ (বঙ্গোপসাগরে) অবস্থিত। এ প্রকল্পের বদৌলতে জাহাজ থেকে তেল সরাসরি পাম্প করা হবে। যা এসপিএম হয়ে অফশোর পাইপলাইনের মাধ্যমে মাতারবাড়ী যেখানে ল্যান্ড টার্মিনাল শেষ হয়েছে সেখানে পৌঁছবে। পরে সেখান থেকে অনশোর পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী এলাকায় নির্মিতব্য স্টোরেজ ট্যাংকে জমা হবে। এসপিএম হতে ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল এবং ডিজেল আনলোডিং করা হবে। ট্যাংক থেকে পাম্পিংয়ের মাধ্যমে তেল প্রথমে অনশোর ও পরে অফশোর পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের গহিরা ল্যান্ড টার্মিনালের শেষ পর্যন্ত আসবে। সেখান থেকে পুনরায় অনশোর পাইপলাইনের মাধ্যমে কর্ণফুলী ইপিজেডের (কেইপিজেড) ভিতর দিয়ে ডাংগারচর পর্যন্ত এসে কর্ণফুলী নদী এইচডিডি পদ্ধতির মাধ্যমে ক্রস করে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ভিতর দিয়ে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পাঠানো হবে। ট্যাংক ফার্ম হতে ১৮ ইঞ্চি ব্যাসের ২টি পৃথক পাইপলাইনের মাধ্যমে ক্রুড অয়েল এবং ডিজেল ডেলিভারি করা হবে ।
বিপিসি সূত্রে জানা যায়, আইএলএফ কনসালটিং ইঞ্জিনিয়ারস, জার্মানি প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। সিপিপিইসি জিটুজি ভিত্তিতে প্রকল্পের ইপিসি ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বার্ষিক জ্বালানি তেল আনলোডিং ক্ষমতা হবে মোট ৯.০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এক লাখ ২০ হাজার ডিডব্লিউটি ক্রুড অয়েল ট্যাংকার মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় এবং ৭০ হাজার ডিডব্লিউটি ডিজেল ট্যাংকার মাত্র ২৮ ঘণ্টায় খালাস হবে।
প্রকল্পে মোট অফশোর পাইপলাইন ১৩৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া এইচডিডি ক্রসিংয়ের অফশোর অংশ ১১ কিলোমিটারসহ মোট ১৪৬ কিলোমিটার। এ ছাড়া অনশোর পাইপলাইন ৭৪ কিলোমিটার। ১৮ ইঞ্চি এবং ৩৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন প্রায় ২২০ কিলোমিটার। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এসপিএম প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী এলাকায় স্টোরেজ ট্যাংক ও পাম্পিং স্টেশন স্থাপন হবে ৩টি ক্রুড অয়েল (প্রতিটির নিট ধারণক্ষমতা ৫০ হাজার ঘনমিটার) ও ৩টি ডিজেল ট্যাংক (প্রতিটির নিট ধারণক্ষমতা ৩০ হাজার ঘনমিটার), স্কাডা, প্রধান পাম্প, বুস্টার পাম্প, জেনারেটর, মিটারিং স্টেশন, পিগিং স্টেশন, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে ইআরএলের মাধ্যমে সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং নির্মাণের পরিকল্পনা করে বিপিসি। নানা জটিলতার কারণে সময়ক্ষেপণে প্রকল্পটির ব্যয় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। পরে ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশে পুরনো প্রকল্পটি সমাপ্ত ঘোষণা করে নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করে জ্বালানি বিভাগ। সে অনুযায়ী প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’ রাখা হয়। প্রথমে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার পরিকল্পনা নিয়ে ৪ হাজার ৯৩৫ কোটি ৯৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। দ্বিতীয়বার নেওয়া প্রকল্পটি প্রথম দফায় সংশোধিত হয়ে ২০১৬ সালের ১৮ আগস্ট ৫ হাজার ৪২৬ কোটি ২৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার প্রকল্পটি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পায়। এর পরও দুই দফায় সময় বাড়িয়ে ২০২১ সালের আগস্টে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে পরে আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২২ সালের আগস্টে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পার হয়ে গেলেও প্রকল্পটি চূড়ান্ত বাস্তবায়ন করা যায়নি। প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫৬৮ দশমিক ২৬৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকারের (জিওবি) নিজস্ব তহবিল এক হাজার ২১৯ দশমিক ৮৭ কোটি টাকা, বিপিসির নিজস্ব তহবিল ৬৮৯ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য চার হাজার ৬৬৩ দশমিক ৪০১ কোটি টাকা। পরে এ প্রকল্পের চূড়ান্ত ব্যয় নির্ধারণ হয় প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।
সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩