জাতীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে নেপিডোতে বৈঠক আজ

ঢাকা, ০৪ সেপ্টেম্বর – রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকা-নেপিডো বৈঠক আজ। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরীক্ষমূলক ও স্বল্প পরিসরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায় বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমার। ঢাকা ও নেপিদোর কূটনৈতিক সূত্রগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ লক্ষ্যে সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী শহর নেপিডোয় একটি বৈঠক হবে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেবেন। বৈঠকে যোগ দিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার অনু বিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে মিয়ানমার পৌঁছেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে পাইলট প্রজেক্ট সফল করতে চলতি মাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একাধিক বৈঠক হবে। এরই অংশ হিসেবে আজ নেপিডোয় বসছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা। কিছুদিনের মধ্যে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল প্রত্যাবাসনে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কক্সবাজার আসার কথা রয়েছে। এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে চীন।

এর আগে গত ১৫ মার্চ মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মংডুর আঞ্চলিক পরিচালক অং মাইউর নেতৃত্বে ১৭ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসে এবং ৪২৯ জন রোহিঙ্গার সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই শেষে ২২ মার্চ মিয়ানমার ফিরে যায়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য ৭৫০টি প্লটের ওপর ১৫টি নতুন গ্রাম তৈরি করতে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রথমে কয়েকটি ক্যাম্পে রেখে যাচাই করার পর তাদের নতুন এ গ্রামগুলোতে পাঠানো হবে। এ পাইলট প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে আরও পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা ফেরত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে মিয়ানমার জানিয়েছে। তবে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে ইচ্ছুক। তাদের নিজ গ্রামে ফিরে যেতে না দিলে তারা প্রত্যাবাসনে আগ্রহী নয়।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Back to top button