ইমরানকে দোষী ঘোষণার রায়ে ত্রুটি আছে, বলছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট
ইসলামবাদ, ২৪ আগস্ট – তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসলামাবাদের একটি আদালত। সেই রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলল সে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। পাক প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল বলেন, ইসলামাবাদের বিশেষ আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ায় অনেক ফাঁকফোকর ছিল।
গত ৫ আগস্ট ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়।
এরপর পাক পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরানকে পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষণা করে। ইমরান খান ওই রায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন। খুব শিগগিরই মামলার শুনানি শুরু হবে।
একই সঙ্গে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতেও একটি পৃথক পিটিশন দায়ের করেন পিটিআই প্রধান। সেই পিটিশন আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বান্দিয়ালের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায়ের পর্যালোচনা করেছে।
সেই বেঞ্চের শুনানিতেই বুধবার (২২ আগস্ট) পর্যবেক্ষণের কথা জানান পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি বন্দিয়াল।
তিনি বলেন, ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ায় অসম্পূর্ণ ছিল। এরই মধ্যেই নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে হাই কোর্টের রায় খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী পদক্ষেপ করবে।
গত বছর ক্ষমতা হারানোর পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মামলা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে তোশাখানা দুর্নীতির অভিযোগ অন্যতম। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইমরান গত অক্টোবরে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন জানালেও আদালত তা খারিজ করে দেয়। সেই সঙ্গে আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
চলতি বছরেই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছিল, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জোট সরকারের আমলে বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির কারণে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা বাড়ছিল।
কিন্তু ভোটের আগে তোশাখানা মামলার রায় নির্বাচনী মাঠে তার অংশগ্রহণ অনিশ্চিত করে তুলেছে। এই পরিস্থিতিতে পাক শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ পিটিআই নেতা-কর্মীদের ফের উৎসাহী করবে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৪ আগস্ট ২০২৩