ডিমের দাম কমেছে, বেড়েছে সবজি-মাছের
ঢাকা, ১৮ আগস্ট – বাজারে কমেছে ডিমের দাম অন্যদিকে দাম বেড়েছে সবজি ও মুরগির। এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে অন্য সব পণ্য।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বর ও কালশী বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
বাজারে দাম বেড়েছে সবজির। আকার ভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। লম্বা ও গোল বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। করলার কেজি ৮০-৯০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০, পটল ৫০-৬০, ঢেঁড়স ৬০, কচুর লতি ৭০, পেঁপে ৪০, মুলা ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ ও ধুন্দুল ৫০-৬০ টাকা কেজি। বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।
কালশী বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. মালেক বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সবজির দাম অনেক বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে বাজারের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
বাজারে দাম বেড়েছে মুরগিরও। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০টাকায়। গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার মুরগির দাম বাড়ে আর অন্য দিনগুলোতে মুরগির দাম কম থাকে।
বাজারে গরুর মাংস দাম বেড়ে কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা।
ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭৫-৮০ টাকা। দেশি আদার কেজি ২০০, চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। আলুর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪০ টাকা। বাজারে খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। প্যাকেট আটার কেজি ৬৫ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আটা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। দেশি মসুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুরের ডালের কেজি ৯০-১০০ টাকা।
সয়াবিন তেলের লিটার ১৭৮ টাকা, লবণের কেজি ৩৮-৪০ টাকা।
ফার্মের মুরগির ডিম কিছুটা কমে ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৫০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন ২১০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।
ডিম বিক্রেতা মো. রমজান বলেন, তিন দিনের ব্যবধানে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজনে দাম কমেছে ১৫ টাকা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণেই কমেছে ডিমের দাম।
এদিকে মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি রুইমাছ বিক্রি হয়েছে ৩২০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০-২০০ টাকায়। প্রতি কেজি শিংমাছ ৩৫০-৪৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি কইমাছ বিক্রি হয়েছে ২০০-২৫০ টাকা। আর পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৫০০ টাকা।
সূত্র: বাংলানিউজ
আইএ/ ১৮ আগস্ট ২০২৩