দেশ থেকে ঘৃণার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে
ঢাকা, ১৪ আগস্ট – আগামীর বাংলাদেশ হিসেবে আজকের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে দেশবিরোধী ও ঘৃণার রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, দেশটাই যারা চায়নি, এই জামায়াতে ইসলামী- যারা এই দেশের পতাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল পাকিস্তানিদের দোসর হয়ে। তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া, তাদেরকে আঁচলের তলায় ছায়া দিয়ে, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করা যদি বন্ধ না হয়। তাহলে দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারবো না।
রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের গঠিত সরকারের অধীনেই সেক্টর কমান্ডাররা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন, বেতন পেতেন। জিয়াউর রহমানও ৪০০ টাকা বেতন নিতেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় বেনিফিসিয়ারি হচ্ছেন জিয়া ও তার পরিবার। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, তার প্রমাণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খন্দকার মোশতাক তার আস্থাভাজন বলেই জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান নিয়োগ করেছিলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করার জন্য জারি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বৈধতা দিতে ১৯৭৯ সালে সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনে সেটিকে আইনে রূপান্তরিত করার জন্য সরকারি দলের পক্ষে প্রস্তাব এনে সেই আইন পাশ করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন- সাবেক মন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল জলিল ভুঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১৪ আগস্ট ২০২৩