সাইবার নিরাপত্তা আইনের শুধু মলাটেই পরিবর্তন
ঢাকা, ১০ আগস্ট – সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পাঠ্যসূচি একই আছে, শুধু মলাটটা পরিবর্তন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির বরিশাল বিভাগ ও অঙ্গ সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
রিজভী বলেন, পতনের ভয়ে অবৈধ সরকারের পা কাঁপছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বাইরে থাকলে শেখ হাসিনার সিংহাসন দরে টান দেয় কি না, এ আতঙ্কের কারণেই তাদের আটক করে রেখেছে।
বিএনপির এ মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে করলেন আই সি টি অ্যাক্ট, ১৮ এর নির্বাচনের আগে করলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এবার সামনে যে নির্বাচন তার আগে করলেন সাইবার নিরাপত্তা আইন। এগুলো করছেন আশঙ্কা থেকে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের পার্থক্য কী? আমি তো কোনো পার্থক্য দেখি না। ৬০টি ধারা, তার মধ্যে দুই/একটি ধারা পরিবর্তন করেছে। বিষয়টি এমন যে, ‘তুই আগে নদীর পানি খেতে পারতি, এখন নদীর পানি খেতে পারবি না, পুকুরের পানি খাবি’। এ পার্থক্য ছাড়া আর কোনো পার্থক্য নেই।
রিজভী বলেন, সাংবাদিকরা বেতন পান কত? ধরেন ৫০ হাজার টাকা। এ টাকা দিয়ে বাড়িভাড়া দেবে, একটা বাচ্চা থাকলে তার স্কুলের টিউশন ফি দেবে। এখন যদি কোনো সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নিউজ করে, সন্ত্রাস তো সব আওয়ামী লীগের লোকজনই করে, তাহলে তাকে জেলে যেতে হবে, না হলে অর্থদণ্ড দিতে হবে ২৫ লাখ টাকা। এখন এ টাকা তিনি পাবেন কোথায়? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার আইন একই জিনিস। ঘটনা তো একই নতুন বোতলে পুরোনো বিষ। পাঠ্যসূচি একই আছে, শুধু মলাটটা পরিবর্তন করা হয়েছে।
এ বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের নামে কেন সাজা দিয়েছে তা আমরা জানি না? সবাই জানে। ভয় থেকে এ সাজা দেওয়া হয়েছে। আপনি শেখ হাসিনা এত উন্নয়নের কথা বলেন, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে এত ভয় কিসের? এত আতঙ্ক কেন? আপনার নেতাকর্মী, এমপি-মন্ত্রীরা উন্নয়নের কথা বলে মাইক ফাটিয়ে দিচ্ছেন, অথচ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা-তত্ত্বাবধায়কের কথা বলেন না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো পারেমানেন্ট সরকার না, শুধু নির্বাচনকালীন সরকার। এ তত্ত্বাবধায়ধক সরকারের কথা বললে এত ভয় কিসের? এত আতঙ্ক কিসের আপনার? আপনি যদি এতই জনপ্রিয় হন, আপনার আমলে যদি এতই উন্নয়ন হয়ে থাকে, তাহলে এ ভয়টা কেন? কারণ ওই উন্নয়নের নামে, মেগা প্রজেক্টর নামে যে অর্থ লুটপাট হয়েছে, পাচার হয়েছে, দেশের জনগণও জানে, এখন বিদেশিরাও জানে। সেটা নিয়ে তারা বিভিন্নভাবে কথা বলছে। এ কারণেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারে আপনারা রাজি না।
এসময় তিনি খালেদা জিয়া, আকন কুদ্দুসসহ সব রাজবন্দির মুক্তি দাবি করেন।
আফম রশিদ দুলাল হোসেনের সভাপতিত্বে মানবন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মুজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস জাহান শিরিন, মীর সরাফত আলী সপু, মুনির হোসেন, কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, আবু নাসের রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ১০ আগস্ট ২০২৩