জাতীয়

বিদায়ী অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৪৮ শতাংশ

ঢাকা, ০৩ আগস্ট – বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি অনেকটা কমে এসেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। সেই সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যেও ঘাটতি কমেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশ করা হালনাগাদ প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭১৬ কোটি ডলার। এটা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ কম। ২০২১-২২ সালের জুলাই-জুন সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৩২৫ কোটি ডলার।

রেকর্ড ৩ হাজার ৩২৪ কোটি ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি এবং বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্যে ১ হাজার ৮৬৯ কোটি ডলারের ঘাটতি নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষাপটে ২০২২ সালের জুলাই থেকে আমদানি নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার প্রভাবে চলতি হিসাব ভারসাম্যের ঘাটতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের লেনদেন ভারসাম্যের ঘাটতি ৩৩৩ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে তা ছিল এক হাজার ৮৬৪ কোটি ডলার।

ডলার সংকট ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমদানিতে বিধিনিষেধের কারণে গেল অর্থবছরের শেষ মাস জুনে আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খোলা কমে যায়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুন মাসে পণ্য আমদানির জন্য ৪৭৫ কোটি ডলারের এলসি বা ঋণপত্র খোলা হয়। সে হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় এলসি খোলা কমে ৪৪ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৯ হাজার ৪২৭ কোটি ডলারের এলসি খোলা হয়েছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা কমে ৬ হাজার ৯৩৬ কোটি ডলারে নেমে আসে। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে এলসি খোলা কমেছে প্রায় ২৭ শতাংশ।

ব্যাংকাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে ব্যবসায়ীদের জন্য পণ্য আমদানির এলসি খোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু পণ্য আমদানিতে ১০০ শতাংশ মার্জিন রেখে তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোয় ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচার কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরের আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৬ হাজার ৯৫০ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি খাতে ব্যয় ছিল ৮ হাজার ২৪৯ কোটি ডলার।

একই সময়ে রপ্তানি খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৫ হাজার ২৩৪ কোটি ডলার, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৬ দশমিক ২৮ শতাংশ বেশি। ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি থেকে আয় এসেছিল ৪ হাজার ৯২৪ কোটি ডলার। আমদানি কম এবং রপ্তানি বেশি হওয়াটা বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে সহায়তা করেছে।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ০৩ আগস্ট ২০২৩

Back to top button