জাতীয়

রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তরা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হতে পারবেন না

ঢাকা, ০২ আগস্ট – যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা কেউ নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশর মানুষ কোনো না কোনো দল সমর্থন করবে। তবে কোনো দলের কমিটিতে আছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। আমাদের নীতিমালায় আছে বর্তমানে যদি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তাহলে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে পারবে না।

বুধবার (২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনে ২১১টি বেসরকারি সংস্থা আবেদন করে। এর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছে মাত্র ৯৫টি। সর্বশেষ গত কমিশন ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দিয়েছিল।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত তারা পর্যবেক্ষক হতে পারবেন না। বিষয়টা হলো, বাংলাদেশর মানুষ কোনো না কোনো দল সমর্থন করবে। তবে কোনো দলের কমিটিতে আছে কি না, সেটা দেখতে হবে। আমাদের নীতিমালায় আছে, বর্তমানে যদি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তবে পাবে না।

বিদেশি পর্যবেক্ষদের প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, আমরা আশা করছি না শুধু, আমরা আহ্বানই জানিয়েছি যে, যত বেশি সংখ্যক আসতে চান, আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের সাদরে আমন্ত্রণ জানাব।

কাউকে ভিসা দেয়া হবে কি না- সেটা রাষ্ট্রর ব্যাপার উল্লেখ করে মো. আলমগীর বলেন, তবে আমাদের পক্ষ থেকে উদার নীতি থাকবে যে, যত সংখ্যক আসতে পারেন, তারা আসুক।

‘ভিসাটা দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর বিদেশ থেকে আসতে হলে সেই ভিসা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাম্বাসিগুলো আছে, হাইকমিশন আছে, সেখান থেকে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়। এতে দুইটা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা লাগে। আমরা সহযোহিতার জন্য দুই মন্ত্রণালয়কেই লিখিত চিঠি দেব, যে সকল বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবে, তাদেরকে ভিসা দেয়ার বিষয়ে যেন সহযোগিতা করে। কিন্তু কাকে ভিসা দেবে, কাকে ভিসা দেবে না- সেটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তাদের ওপর।’

তিনি বলেন, আমরা যেটা চাইব, সেটা হলো- নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার অভিজ্ঞতা যাদের আছে এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নির্বাচন যারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, তা সে ব্যক্তি হোক আর সংস্থেই হোক, এ ধরনের যারা, তারাই যেন আসেন। তারা আসলেই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। তারা সঠিকভাবে নির্বাচনটা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং বিশ্লেষণ করতে পারবেন। যাদের অভিজ্ঞাতা নাই, তাদের বিষয়টা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখবে।

দেশীয় ২১১ পর্যবেক্ষণ সংস্থা আবেদন করেছিল জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে ৯৫টিকে শর্টলিস্ট করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকের আবার অসম্পূর্ণ তথ্য আছে। যে কারণে এগুলো আরও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য নেবেন কি না- প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা কমিশনের সিদ্ধান্ত। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য নেবে, না কি নিজস্ব পর্যবেক্ষকদের থেকে তথ্য নেবে, এটা গোপন বিষয়, গোপনই থাক।

নতুন করে আর আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে না জানিয়ে ইসি আলমগীর বলেন, কেননা, আমরা একটা সময় দিয়েছিলাম। যদি এমন হয় নির্বাচনের আগে কোনো সংস্থা পর্যবেক্ষক হতে চায়, তখন আমরা কমিশন বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেব।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ০২ আগস্ট ২০২৩

Back to top button