ঢাকা

রাজধানীতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা, ২৬ জুলাই – রাজধানীর পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডের একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে এই দম্পতি একই ফ্যানে গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের একটি টিনশেড ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃতরা হলেন- জুয়েল (২৮) ও তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার (২২)। তারা দুজনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজনদের।

জুয়েলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তার বাবার নাম আজাদুর খন্দকার। আর নাসরিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। তার বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান।

স্বজনরা জানান, গত সাড়ে ৩ বছর আগে জুয়েল ও নাসরিনের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান হলেও ৯-১০ মাস আগে সে সন্তান মারা যায়।

মৃত নাসরিনের বড় ভাই টিটু মিয়া জানান, গত ৮-৯ মাস ধরে পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে নোয়াখালী বাড়িতে ভাড়া থাকতেন জুয়েল ও নাসরিন। পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন টিটু মিয়া। তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি কাজ থেকে বাসায় ফেরেন। তখন তার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে জানতে পারেন, দুপুরের পর থেকে নাসরিন এবং জুয়েলকে তাদের রুমের দরজা খুলতে দেখেননি তারা। রান্না করতেও দেখেননি। তখন টিটু মিয়া তাদেরকে ডাকাডাকি করেন। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালার মাধ্যমে কৌশলে তাদের রুমের দরজা খুলেন। এরপর ভেতরে ঢুকে দেখেন একটি ফ্যানের সাথে দুইটি ওড়না বেঁধে জুয়েল ও নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তারা থানায় খবর দেন।

পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৩টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর সিআইডির টিম যায়। তারাই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

টিটু মিয়া জানান, নাসরিন অন্যের বাসায় কাজ করতেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক সপ্তাহ ধরে কাজে যেতে পারছিলেন না। জুয়েলের হাতেও কোনো কাজকর্ম না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা দুজন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা তাদের। এদিকে রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের ১৮৩/৩ নম্বর ওই টিনশেড বাসা থেকে স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

তিনি জানান, অর্থিক অভাব অনটনের কারণে স্বামী ও স্ত্রী একই ফ্যানের সাথে আলাদা দুটি ওড়না বেঁধে গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ঘটনাটি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৬ জুলাই ২০২৩

Back to top button