জাতীয়

আয়োজনে ‌’হ-য-ব-র-ল’, ক্ষোভে চলে গেলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ জুলাই – বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিসেমিনেশন অব ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর প্রিভেনশন অব সন প্রিফারেন্স অ্যান্ড দ্য রিস্ক অব জেন্ডার-বায়াসড সেক্স সিলেকশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার সকাল ১১টায়। তবে, দুপুর পৌনে ১টাতেও অনুষ্ঠানস্থলে আয়োজকদের তেমন কারো উপস্থিতি চোখে পড়েনি।

গতকাল সোমবার (২৪ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত আমন্ত্রণপত্রে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা জানানো হয়। দুপুর পৌনে ১টাতেও আয়োজকদের কারো উপস্থিতির খবর না পেয়ে অনুষ্ঠানস্থলের খুব কাছাকাছি গিয়েও ক্ষোভে ফিরে যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটির আয়োজক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ইউএনএফপিএ এবং নরওয়ে মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স।

আমন্ত্রণপত্রে দেওয়া সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত স্বাস্থ্য বিটের সাংবাদিকরা। তখনও অনুষ্ঠানের সাজসজ্জার কাজ চলছিল। পাশাপাশি আয়োজকদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।

বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানস্থলে আসা দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শিশির মোড়ল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাংবাদিকদের সময়ের মূল্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে বরাবরই মূল্যহীন। এরকম ঘটনা আজ নতুন নয়। আগেও বহুবার ঘটেছে। বিষয়টি খুবই নিন্দনীয়।

এ বিষয়ে অন্যতম আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইউএনএফপিএর জেন্ডার টেকনিক্যাল অফিসার রুমানা পারভিন বলেন, আমরা প্রথমে জানতাম, অনুষ্ঠান লাঞ্চ আওয়ারের পর হবে। আজ সকালে জেনেছি, দুপুর সাড়ে ১২টায় হবে। তবে, ১১টায় সাংবাদিকদের জানানোর বিষয়টি আমরা জানি না। এটি সম্ভবত মিসকমিউনিকেশনের কারণে হয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধান বলেন, আমাদের বলা হয়েছে, বেলা ১১টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে। আমি সে অনুযায়ী মন্ত্রী মহোদয় এবং সাংবাদিকদের ইনভাইটেশন পাঠিয়েছি। আমি নিজেও ১১টার আগেই অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়েছি। কিন্তু, এখানে আসার পর দেখি যে, আয়োজকদের কেউই নেই। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠান শুরু হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার কথা মধ্যাহ্নভোজের পর। তবে, সে সময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে অনুষ্ঠানের সময় দুপুর সাড়ে ১২টায় নির্ধারণ করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ এবং আয়োজকদের সমন্বয়হীনতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়। মন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে আসার জন্য সময়মতো রওনা হন। মাঝপথে এসে অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরি হওয়ার কথা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং শিডিউল অনুযায়ী স্বাস্থ্যমন্ত্রী অন্য অনুষ্ঠানে চলে যান।

পরে দুপুর ১টার দিকে অনুষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানাসহ অনেকে।

সূত্র: রাইজিংবিডি
আইএ/ ২৫ জুলাই ২০২৩

Back to top button