দক্ষিণ এশিয়া

কাল ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ

ইসলামবাদ, ২৪ জুলাই – পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অবমাননার মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সোমবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেছে ইসিপি।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, ইসলামাবাদ ক্যাপিটাল টেরিটরি (আইসিটি) পুলিশকে দেশটির নির্বাচন কমিশনের অবমাননার মামলায় জারি করা এই পরোয়ানা বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা পালন করতে বলা হয়েছে।

পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট কোয়েটার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল রাজ্জাক শাহ হত্যা মামলায় ইমরান খানকে আগামী ৯ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারবে না বলে আদেশ জারির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইসিপি ওই পরোয়ানা জারি করেছে।

নির্বাচন কমিশনকে অবমাননার অভিযোগে দায়ের করা মামলার শুনানিতে ইমরান খান ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিত রয়েছেন। যে কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে আগামীকাল (মঙ্গলবার) নির্বাচনী নজরদারি এই সংস্থার সামনে হাজির করতে ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছে ইসিপি।

ইসিপি বারবার তলব করলেও দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সময় ও শারীরিক অসুস্থতার অজুহাতে শুনানিতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন।

গত বছর দেশটির নির্বাচন কমিশন ও সিইসির বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে পিটিআই প্রধানসহ দলটির সাবেক মহাসচিব আসাদ উমর ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ইসিপি।

পরে ইসিপির সদস্য নিসার দুররানির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের বেঞ্চে হাজির হয়ে ইমরান খান ও অন্যদের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য কয়েক দফায় নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু পিটিআই নেতারা ইসিপির বেঞ্চে হাজির হননি। এর পরিবর্তে দেশটির উচ্চ আদালতে নির্বাচন আইন-২০১৭ এর ১০ ধারার আওতায় ইসিপির অবমাননার মামলা দায়েরের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করেন পিটিআই নেতারা।

চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ইমরান খান ও পিটিআইয়ের অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ইসিপিকে অনুমোদন দেয়। গত ২১ জুন নির্বাচন কমিশন ও সিইসিকে অবমাননার মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলার কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন পেলেও ইসিপিকে চূড়ান্ত রায় ঘোষণার ক্ষমতা দেয়নি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।

কয়েক দফায় নোটিশ পাঠানো হলেও নির্বাচন কমিশনের গঠিত বিচারিক বেঞ্চের শুনানিতে ইমরান খান ও তার দলের নেতারা হাজির হননি। একইভাবে শুনানিতেও ইমরান খান, ফাওয়াদ চৌধুরী ও আসাদ উমরের কেউই ইসিপিতে উপস্থিত হননি। পরে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এই মামলার কার্যক্রম আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত মূলতবি ঘোষণা করে ইসিপি।

তবে গত ২০ জুলাই পিটিআইয়ের সাবেক নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী সংস্থার দায়ের করা অবমাননার মামলায় ইসিপির কাছে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে তিনি যা বলেছিলেন তা দলের মুখপাত্র থাকাকালীন পিটিআইয়ের রাজনৈতিক অবস্থানের সাথে সম্পর্কিত।

সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ২৪ জুলাই ২০২৩

Back to top button