জাতীয়

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সোয়া ঘণ্টা বৈঠকের পর যা জানালো বিএনপি

ঢাকা, ২০ জুলাই – বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে এক ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) বিকেল গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের ওপর সব গণতন্ত্রকামী দেশ ও সংগঠনের কনসার্ন একটা জায়গায়। সেটা হলো একটি অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই কনসার্ন ব্রিটিশ সরকারের সব সময় ছিল। আমরা ওয়েস্ট মিনিস্টার ফলো করি। এ বিষয়গুলোই আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ছয় মাস পরে নির্বাচন। কিন্তু ভোট চুরির প্রকল্প অব্যাহতভাবে চলছে। গত এক সপ্তাহে অনেক জেলা প্রশাসক, পুলিশ অফিসার ও থানা নির্বাহী অফিসার পদে বদলী করা হয়েছে। এ জন্যই আমরা বলি, বাংলাদেশে নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এই ভোট চুরির প্রকল্প ভাঙার একমাত্র পথ নির্দলীয় সরকার। এ আলোচনা এখন সব জায়গায় চলছে। আমাদের আজকের আলোচনায় এগুলো ওঠে এসেছে।

নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ব্রিটিশ সমর্থন আছে কি না জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, সারা বিশ্বের প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশে কেন আসছে, কেন বার্তা দিচ্ছে, কেন অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে? এর অর্থই হচ্ছে বাংলাদেশে নির্বাচন হচ্ছে না, দেশের জনগণ ভোট দিতে পারছে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে গণতান্ত্রিক দেশগুলো নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। বাংলাদেশে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো তাহলে এসব প্রশ্নও ওঠতো, আলোচনা হতো না। আর ব্রিটিশ হাইকমিশনারও এখানে এসে এসব আলোচনা করতেন না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। এটি বিএনপি দাবি নয়, এগুলো এ দেশের কোটি কোটি মানুষের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এটা বাংলাদেশের কে না বুঝে।

সূত্র: আরটিভি নিউজ
আইএ/ ২০ জুলাই ২০২৩

Back to top button