সুনামগঞ্জ

ছাতক-দোয়ারাবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ঢাকা, ০৩ জুলাই – সুনামগঞ্জে সব নদ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে সীমান্তের ওপারের মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে। এজন্য কোথাও বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হয়নি। তবে জেলার দোয়ারাবাজার ও ছাতকের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি ওঠা শুরু হয়েছে।
অতিবৃষ্টিতে সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন মহল্লায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে শহরের পশ্চিম তেঘরিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম নতুনপাড়া, শহীদ আবুল হোসেন রোড, জেল রোড এলাকার অপেক্ষাকৃত নিচু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।

পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজারের সিলাই নদীর রাবার ড্যামের উজানের বাম তীরের বাঁধ ভেঙে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। উপজেলার বড়বন্দ, মাইজখলা, শরীফপুর এলাকার ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলার বড়কাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, তাদের বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত পানি উঠেছে।

এদিকে ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। ছাতক পৌর শহরের বাঘবাড়ি, তাতিকোণা, বৌলা, চরেরবন্দ এলাকায় এবং শহরতলির নোয়ারাই এলাকার কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ। তবে উজানে অর্থাৎ মেঘালয় চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হয়েছে।

বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হতে পারে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ছাতকে সুরমার পানি বিপৎসীমার ১৩৩ সেন্টিমিটার ও সুনামগঞ্জে ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০৩ জুলাই ২০২৩

Back to top button