জাতীয়

বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এখনো শেষ হয়নি: ডা. জাফরুল্লাহ

ঢাকা, ১৪ ডিসেম্বর – গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা এখনো শেষ হয়নি। তবে এখনকার কারণটা ভিন্ন। এখন হত্যা করা হচ্ছে সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক কারণে।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: বর্তমান বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মানুষ স্বাধীনচেতা হলে তার মনে প্রশ্ন করার আগ্রহ জন্মে। মানুষ যেন প্রশ্ন না করে, সেই নীল নকশা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে রাজাকার, আলবদর, আল শামস। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া কি শেষ হয়েছে। বুদ্ধিজীবী হত্যা মানে কি- যাতে আমরা সুচিন্তা করতে না পারি, বিবেককে কাজ লাগাতে না পারি। আমরা সাহস হারিয়ে ফেলি, যেন কোনো আন্দোলন না হয়। গণতন্ত্র ফিরে না আসে।

আরও পড়ুন : ছাদ থেকে পড়ে মৃত ‘জিনের বাদশার গডফাদার’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে সর্বপ্রথম অ্যান্টিবডি টেস্ট আমরা উদ্ভাবন করেছিলাম। গণস্বাস্থ্য ছিল মাধ্যম মাত্র। আজকে পর্যন্ত গণস্বাস্থ্যের উদ্ভাবিত অ্যান্টিবডি টেস্ট অনুমোদন দেয়নি সরকার। বারবার আমেরিকার সিডিসি থেকে যোগাযোগ করেছে। আর আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা বারবার প্রশ্ন তুলেছেন। তারপরও সরকার অ্যান্টিজেন টেস্টের অনুমোদন দেয়নি।

সভায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব যেখানে চিন্তিত সেখানে আমাদের দেশের অবস্থা হলো হয় হাসপাতাল নাই, হাসপাতাল থাকলে পরীক্ষা করবার যন্ত্র নষ্ট, না হয় ডাক্তার পাওয়া যায় না অথবা সমস্ত ভুয়া হাসপাতাল তৈরি হয়ে আছে। তারা ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়। সরকার যেমন ভুয়া, অসুখের সার্টিফিকেটও তেমন ভুয়া।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। আরও বক্তব্য দেন মেজর জেনারেল (অব.) ইব্রাহিম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ প্রমুখ।

সুত্র : দেশ রূপান্তর
এন এ/ ১৪ ডিসেম্বর

Back to top button