জাতীয়

বাজেটে প্রবাসীদের জন্য কিছু নেই

ঢাকা, ০১ জুন – অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় ডলার সংগ্রহ ও সঞ্চয়ে জোর দেওয়া হলেও রেমিট্যান্সে (প্রবাসী আয়) প্রণোদনা বাড়ছে না। আড়াই শতাংশই থাকছে।

বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিদেশগামী কর্মীদের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা বললেও তাদের জন্য নতুন কোনো সুবিধা ঘোষণা করেননি।

হুন্ডি ঠেকিয়ে বৈধপথে দেশে রেমিট্যান্স আনতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে দুই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। গত বছর তা বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়। এ কারণে কোনো প্রবাসী দেশে ১০০ টাকা পাঠালে, তার পরিবার ১০২ টাকা পায়। বাড়তি টাকা সরকার ভর্তুকি বাবদ দেয়।

চলমান ডলার সংকটের অন্যতম কারণ রেমিট্যান্স কমে যাওয়া। বৈধপথের তুলনায় হুন্ডিতে আসা রেমিট্যান্সে বেশি টাকা পান প্রবাসীদের পরিবার। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণে হুন্ডি বেড়েছে। রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের বিপরীতে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু হুন্ডি বাজারে আরও বেশি দাম পাওয়া যাচ্ছে। তাই প্রণোদনা বৃদ্ধির দাবি থাকলেও, বাজেটে এ বিষয়ে কিছুই নেই।

বৃহস্পতিবার সংসদে পেশ হওয়া আগামী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য এক হাজার ১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। চলতি বছরের বাজেটে ৯৯০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমে হয়েছে ৫৯৯ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমান সরকারের ১৪ বছরে ১০ লাখ নারীসহ ৮১ লাখ কর্মী বিদেশ গিয়েছেন। নতুন শ্রমবাজারের অনুসন্ধান চলছে। পোল্যান্ড, রোমানিয়ার মতো অপ্রচলিত শ্রমবাজারে কর্মী যাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবে স্বল্প দক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ০১ জুন ২০২৩

Back to top button