বাংলাদেশ

শনির চাঁদ থেকে বেরুচ্ছে পানির ফোয়ারা!

পানির অপর নাম জীবন। আবার পানি থেকেই জন্ম নিতে পারে জীবন। আর এ কারণে শনির একটি উপগ্রহে পানির খোঁজ পেয়ে দারুণ উচ্ছসিত বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। নতুন প্রজন্মের টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব শনি গ্রহের একটি চাঁদে খুঁজে বের করেছে পানির বিশাল ফোয়ারা।

সম্প্রতি জেমস ওয়েব আবিষ্কার করে শনির ১৪৫ টি উপগ্রহ। এসব উপগ্রহ লক্ষ কিলোমিটারের বেশি দূর থেকে শনির চারপাশে ঘুরছে। এসব উপগ্রহের মধ্যেই একটি নাম এনসেলাডাস। এটি আকারে ছোট হলেও, সেখানে মিলেছে একধিক তথ্য। যা অবাক করছে বিজ্ঞানীদের।

সবচেয়ে বড় তথ্য, সেই এনসেলাডাসে পানির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। টেলিস্কোপেই দেখা গেছে পানির ছবি। এতে অবাক বিজ্ঞানীরা। পানির ফোয়ারা বেরুচ্ছে সেখান থেকে। আর সেই পানির ফোয়ারার দৈর্ঘ্য কয়েক কিলোমিটার জুড়ে।

পানি ছাড়াও সেখানে পাওয়া গেছে জৈব কণাও। সেখান থেকে মিলতেও পারে প্রাণের সন্ধান। জেমস ওয়েব ছবিটি তুলেছিলো ২০২২ সালেই। ক্যাসিনি মহাকাশযান দেখেছিলো উপগ্রহটি। ক্যাসিনির স্পেকট্রোমিটারে পানির ফোয়ারা থেকে বোঝা যায়, সেখানে থাকতে পারে প্রাণ।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, উপগ্রহে পানির ফোয়ারর পাশাপাশি জৈব কণাও ছড়াচ্ছে। এই কণাগুলোতে এমন অনেক জৈবিক ও রাসায়নিক কণা মিশে থাকতে পারে, যেখান থেকে প্রাণের আবিষ্কার করা যায়। জেমস ওয়েব ২০০২২ সালের নভেম্বরে এটির ছবি তোলে, আর ১৭ মে স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট তা প্রকাশ করে। এরপরই ছবিগুলো ঘুম কেড়েছে বিশ্বের।

নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের র্বিজ্ঞানী সারাহ ফাগি জানান, টেলিস্কোপে যে দৃশ্য ধরা পড়েছে, তা থেকে বোঝা যাচ্ছে এগুলো বিশালাকার পানির ফোয়ারা। তবে এখনও এ নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

সূর্যের তাপ এনসেলাডাসের ভূমিতে উপস্থিত তরল বরফ মহাসাগরকে বাষ্পীভূত করে। শনি গ্রহের মাধ্যাকর্ষণ সেই বাষ্পকে বাইরের দিকে টানে। তারপর প্রায়ই চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে এই ধরনের ফোয়ারা বের হতে দেখা যায় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আইএ

Back to top button