ইসলাম

হাজিদের ইহরাম বাঁধার নিয়ম-পদ্ধতি

হজ শব্দটি আরবি। এর অর্থ নিয়ত করা, সংকল্প করা, গমন করা, ইচ্ছে করা, প্রতিজ্ঞা করা। ইসলামি শরীয়তের পরিভাষায়- নিদিষ্ট দিনে নিয়তসহ ইহরামরত অবস্থায় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা এবং বায়তুল্লাহ শরীফ তাওয়াফ করাই হচ্ছে হজ।

হজের ফরজ ৩টি- তার মধ্যে ইহরাম বাধা একটি। ইহরাম হলো হজের প্রথম রুকন। হজ করার জন্য প্রথমেই ইহরাম বেধে নিতে হয়।

ইহরাম বাধার আগেই গোঁফ, বগল ও নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখ কাটা, গোসল করে পাক হয়ে যাওয়া আবশ্যক। এমনকি ঋতুবর্তী নারীদেরও এ সময় গোসল করা মুস্তাহাব। সুগন্ধি ব্যবহার করাও মুস্তাহাব।

আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি নিজে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইহরাম বাধার আগে তাকে সুগন্ধি মাখিয়ে দিতাম। (বুখারি, মসুলিম, হিদায়া) তবে ইহরাম বাধার পর সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ।

ইহরাম বাধার নিয়ম

১. প্রথমেই পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার জন্য গোসল করা। গোসল করা সম্ভব না হলে ওজু করা। চুল কাটার প্রয়োজন না হলে চিরুনি দিয়ে চুলগুলো পরিপাটি করে নেওয়া।

২. গোসলের পর সেলাইহিবীন দুটি কাপড় পরিধান করা। একটি হলো- লুঙ্গি (ইজার) হিসেবে এবং অন্যটি চাদর (লেফাফা) হিসেবে।

৩. মীকাতের নির্ধারিত স্থানে অথবা নির্ধারিত স্থানের আগেই ইহরামের নিয়তে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করা। নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা ফাতিহা পর সুরা কাফিরুন ও দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া মুস্তাহাব। (নামাজের সময় মাথায় টুপি থাকবে, নামাজ শেষে নিয়তের আগেই টুপি খুলে ফেলা)

৪. ইহরামের নিয়ত করা। যদি ওমরা জন্য ইহরাম হয় তাহলে বলবেন- ‘লাব্বাইক ওমরাতান’ আর যদি ইহরাম হজের জন্য হয় তাহলে বলবেন- ‘লাব্বাইক হাজ্জান’

ইহরামের নিয়তের পর পরই উচ্চস্বরে ৩ বার তালবিয়া পাঠ করা।

‌‌‍‌‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইক, লা-শারিকা-লাকা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুলক। লা শারিকা লাকা।’

তিনবার তালবিয়া পাঠের মাধ্যমে ইহরাম বাধার কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। তখন থেকে ইহরামকারীর জন্য হজ ও ওমরার কার্যক্রম ছাড়া স্বাভাবিক সময়ের বৈধ কাজও হারাম হয়ে যায়।

আইএ/ ২৬ মে ২০২৩

Back to top button