জাতীয়

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত চিন্তিত, যা জানাল ঢাকার দূতাবাস

ঢাকা, ২৫ মে – বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনার পর কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। গতকাল বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।

নতুন বিধিনিষেধ কার বা কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, এ নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্য অনেকের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারের সমর্থক এবং বিরোধীদলীয় সদস্যরা এর অন্তর্ভুক্ত। এমনকি এ ধরনের ব্যক্তিদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। নিকটতম পরিবারের সদস্য হিসেবে মা, বাবা, স্ত্রী ও সন্তানদের বোঝানো হয়ে থাকে বলে দূতাবাসের কনস্যুলার সেবায় জড়িত এক কর্মকর্তা জানান।

এখন কি এই নীতিমালার আওতায় কোনো ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে কিনা—প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, না। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেমনটা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত চিন্তিত—এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছেন। এই নীতিটি সেই প্রচেষ্টাকে এবং বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করার জন্য প্রণীত হয়েছে, যাতে তারা তাদের নেতা বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচন করতে পারে।

এই বিধিনিষেধ সরকার বা আওয়ামী লীগের দিকে নির্দেশ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, না, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলো সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সেইসব ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে পরিচালিত, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন আচরণে/ কর্মকাণ্ডে জড়িত।

যাদের ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে, আপনারা কি তাদের অবহিত করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে, তাদের অবহিত করা একটি সাধারণ রীতি।

উচ্চ স্তরের আদেশ অনুসরণ করে যারা অপরাধ করে, তাদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ কীভাবে প্রযোজ্য হবে? আদেশ পালনকারীদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের যুক্ততার বিষয়টি যদি কঠিন হয় তবে কী হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।

এই বিধিনিষেধ ১৪ মে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা হ্রাসের ঘোষণার প্রতিশোধ কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদের অবহিত করেছি।

সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৫ মে ২০২৩

Back to top button