জাতীয়

কাদেরের নির্দেশে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের হামলা

ঢাকা, ২৪ মে – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে গতকাল রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। অবৈধভাবে আবারও ক্ষমতায় আসার জন্য সরকার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তাদের মনে করিয়ে দেই, অতি বাড়াবাড়ি করলে দেশের জনগণই উপযুক্ত জবাব দেবে।

 

বুধবার (২৪ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় রিজভী আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ মে) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশে তাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মুখে ফ্যাসিবাদী হুংকার শুনেছেন সবাই। সেখানে ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দিয়ে বলেছেন, বিএনপিকে ঠান্ডা মাথায় নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। দুইদিন আগেও তিনি বলেছেন, এখন থেকে শান্তি সমাবেশ নয়, সারাদেশে বিএনপিকে প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপির আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের এই ধরনের বক্তব্য ও হুংকারের পর বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা-আটকের অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও ছাত্রলীগ। ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় আমাদের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বিনা উসকানিতে হামলা করেছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিশেষ বাহিনী সোয়াত। সঙ্গে ছিল ছাত্রলীগের কর্মীরা। বৃষ্টির মতো টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় বিএনপির বহু নেতাকর্মী আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছেন বলেও জানান রিজভী আহমেদ।

 

তিনি বলেন, এ সরকার সম্পূর্ণ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের সমাবেশগুলোতে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি এখন দেখা যায় না। সম্মেলনস্থলে চেয়ার খালি থাকে। সরকারের গণভিত্তি নেই বলে তারা পেশিশক্তি, সন্ত্রাস ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে টিকে থাকতে চায়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, পুলিশ ভাইদের বলবো অগণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষ নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান দেবেন না। এ সরকারই দেশের শেষ সরকার নয়। জনগণের সরকার অচিরেই প্রতিষ্ঠিত হবে। এদের পতন হবে খুবই শোচনীয়ভাবে। অতি বাড়াবাড়ি যারা করবে তাদের উপযুক্ত পরিণতি অবশ্যই ভোগ করতে হবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম।

রিজভী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। এটি সরকারের একটি অশুভ পরিকল্পনা। এ মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও আসামি ছিলেন। রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়ে আওয়ামী প্রধান এ মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার বিচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত ১৯ মে থেকে জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির পাঁচ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করে ১৪৮টি মামলা এবং সাড়ে ৬০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

সূত্র: রাইজিংবিডি
আইএ/ ২৪ মে ২০২৩

Back to top button