ঈশ্বরদীতে শিক্ষার্থীকে শেকলে বেঁধে নির্যাতন, শিক্ষক গ্রেপ্তার
পাবনা, ১০ অক্টোবর- পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় শিকলে বেঁধে রেখে মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে (১১) নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলার পর আটক শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
স্বজনরা জানান, ওই শিশুকে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের কদিমপাড়া বুড়ো দেওয়ান নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন তার বাবা। কিন্তু মাদ্রাসায় প্রায়ই মারধরের শিকার হওয়ায় সে পালিয়ে যেত। এ মধ্যে মারের ভয়ে পালিয়ে পাশের খালার বাড়িতে চলে যায় শিশুটি। সেখান থেকে বুঝিয়ে তাকে গত বুধবার মাদ্রাসায় ফেরত পাঠায় অবিভাবকরা। ওইদিন রাতেই তাকে লোহার শেকলে বেঁধে বেধড়ক পেটান ওই মাদ্রাসার শিক্ষক পিয়ারুল।
আরও পড়ুন: কালাই পৌরসভার উপনির্বাচনে বিএনপি মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জন
গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় সুযোগ পেয়ে মোবারক মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। শেকল বাঁধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। রাতেই অভিযুক্ত শিক্ষক পিয়ারুল ইসলাম ও সিনিয়র শিক্ষার্থী সাব্বির আহম্মেদকে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। শিশুটির পেছন দিকে কোমরের নিচ থেকে পা পর্যন্ত মারধরের চিহ্ন দেখা গেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ঈশ্বরদী সার্কেল) ফিরোজ কবীর জানান, আজ বিকেলে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক পিয়ারুলের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করলে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
সূত্র : এনটিভি
এন এইচ, ১০ অক্টোবর