ঋণসীমা বৃদ্ধি: সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বাইডেন ও ম্যাকার্থি
ওয়াশিংটন, ২৩ মে – মার্কিন সরকারের ঋণ গ্রহণের সীমা বাড়ানো নিয়ে সমাধান হলো না। কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়াই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে রিপাবলিকান নেতা কেভিন ম্যাককার্থির বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে এ আলোচনাকে ফলপরশু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে সাংবাদিকদের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি বলেন, আমার বিশ্বাস এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব।
অন্যদিকে দুই পক্ষের পক্ষের মতপার্থক্যের জায়গাগুলো স্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তিনি বলেছেন, সরকারের খেলাপি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আর নেই। এর আগে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন আবারও সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জুনের শুরুতেই খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে পরতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া ম্যাককার্থি এদিন আরও বলেন, আমরা এখনও কোনো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারিনি। তবে আমি মনে করি, আমাদের যে মতপার্থক্যের জায়গাগুলো রয়েছে, সেই বিবেচনায় আজ ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি জানান, সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবেন। ম্যাককার্থি আরও বলেছেন, ঋণসীমা বৃদ্ধি নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে অচলাবস্থার কারণটি বরাবরের মতই সরকারের ব্যয়।
এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই মুহূর্তে এমন চরম অচলাবস্থার মধ্যে আটকে আছে- এতে করে শুধু তাদের জন্য নয়, বিশ্ব অর্থনীতির জন্যই এক মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন সরকারের জন্য ঋণের যে সর্বোচ্চ সীমা (ডেট সিলিং) বেঁধে দেওয়া আছে, সেটি আরও বাড়ানো হবে কি না- তা নিয়ে ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান- দু’পক্ষই যার যার অবস্থানে অনড়।
দেশটিতে এ অচলাবস্থার কোন সমাধান না হয়, তাহলে এর জন্য বিশ্ব অর্থনীতিকে হয়তো এ যাবৎকালের সবচেয়ে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।
ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকানরা যদি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আরও অর্থ ধার করতে দিতে রাজি না হয়, বা তাদের ভাষায়- ঋণের সর্বোচ্চ সীমা (ডেট সিলিং) না বাড়ায়, তাহলে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশ তাদের ৩১ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঋণ খেলাপি হবে।
এ রকম সমঝোতায় পৌঁছানোর সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। আগামী ১লা জুনের মধ্যে যেভাবেই হোক এই অচলাবস্থার নিরসন করতে হবে। যদি তা না হয়, ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, এর পরিণতি হবে মারাত্মক বিধ্বংসী।
সূত্র: আমাদের সময়
আইএ/ ২৩ মে ২০২৩