অপরাধ

টেকনাফ থানায় গোপন বৈঠকে সিনহা হত্যার পরিকল্পনা করা হয়

ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর – টেকনাফ থানায় গোপন বৈঠকের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এবং এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ। এমটিই জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। খবর; যমুনা টিভি

এদিকে, পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) প্রস্তুত করেছে র‌্যাব। এই চার্জশিটে সব প্রকার যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হওয়ায় রোববার (১৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজার আদালতে জমা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে চার্জশিট আদালতের পথে রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদি হয়ে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামী করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

আরও পড়ুন : ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল বাড়াচ্ছে উদ্বেগ

পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ স্বাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের ( এপিবিএন ) ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেফতার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।

মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৪জন আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ
এন এ/ ১৩ ডিসেম্বর

Back to top button