ব্যবসা

চীনা আদার কেজি ৫০০ টাকা

ঢাকা, ২২ মে – রাজধানীর কঁচাবাজারে আমদানি করা আদার দাম রেড়েই চলেছে। ১ মাস আগে বাজারে যে চীনা আদার কেজি ছিল ২২০ টাকা, তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

চীনা আদা বাদেও ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা আদার দামও বেড়েছে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত। আর দেশি আদার দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ব্যবসায়ীরা জনিয়েছেন, বাজারে আমদানিনির্ভর এই পণ্যটির সরবরাহ এখন কম। অন্য বছরগুলোতে স্থানীয় পর্যায়ে যে পরিমাণ আদা উৎপাদিত হয়, সেটাও এবার কমেছে। এসব কারণে আদার দাম বাড়ছে।

সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি মাত্র দোকানে চীনা আদার দেখা পাওয়া যায়। সেখানে প্রতি কেজি চীনা আদা বিক্রি হচ্ছিল ৫০০ টাকায়। ২ দিন আগে শনিবারও আদা বিক্রি হয়েছে ৪৬০ টাকায়। আর রমজান মাসে চীনা আদার কেজি ছিল ২২০ টাকা।

এদিন কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি বার্মিজ আদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, ইন্দোনেশিয়ার আদা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা, ভিয়েতনামের আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও দেশি আদা ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আদার দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে বাওরান বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘আমাদের দেশে যে আদা আমদানি হয় সেখানে প্রায় ৫০ শতাংশ চীনা আদা এবং বাকিগুলো অন্যান্য দেশের। তবে দেশে চীনা আদার চাহিদা বেশি। কয়েকদিন ধরেই চীনের আদা আসছে না। তাই বাজারে আদার কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। চীনা আদা বাজারে নেই বললেই চলে।’

তারা আরও বলেন, ‘দেশে এ বছর আদার উৎপাদন কম হয়েছে। আমদানিও কম হয়েছে। এ জন্য দাম অনেক বেশি।’ কোরবানি ঈদের আগে আদার দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তারা।

গত ২ দিনে আদার পাশাপাশি পেঁয়াজের ঝাঁঝও বেড়েছে। শনিবার (২০ মে) প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৬ টাকায়। সোমবার সেই একই মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২২ মে ২০২৩

Back to top button