গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না
ঢাকা, ১৯ মে – গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বিএনপি আবারও অগ্নিসন্ত্রাস করতে চায়। দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য আওয়ামী লীগ মাঠে ছিল এবং আগামী দিনেও থাকবে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় যাত্রাবাড়ীর কাজলা ব্রিজ মসজিদ সংলগ্ন সড়কে ‘প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বিএনপিকে নৈরাজ্য ও আগুন সন্ত্রাস পরিহার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা আজম বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছিল জিয়াউর রহমান। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিচারপতি সায়েমের বঙ্গভবনের বাসভবনে গিয়ে গভীর রাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। পরে বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অসুস্থতার দায়ে পদত্যাগ করিয়ে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল জিয়াউর রহমান। সেই জিয়াউর রহমানের অবৈধভাবে গঠিত বিএনপি আজ গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্র উদ্ধারের কথা বলে। গণতন্ত্র হরণকারীদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে থেকে জিয়াউর রহমান যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন এদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়েছিলেন। ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থেকে অত্যাচার-নির্যাতন, গুম, খুনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আইভী রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। সে সময়ে দুর্বিসহ দিন কাটিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঘরে ঘুমাতে পারেনি, ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারতো না, প্রতিটি নেতাকর্মীর নামে ডজন ডজন মামলা ছিল। আমার নামেও প্রায় তিন ডজন মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, আন্দোলন করছে। আওয়ামী লীগ তাদেরকে বাধা দেয় না। এটাই গণতন্ত্র। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার মানবিকতা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল ও ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম মনু এমপি।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা’র সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদ ও উপদপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, ৬৮নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন, ৬৬নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. রাসেল ভূইঁয়া প্রমুখ।
সূত্র: সমকাল
আইএ/ ১৯ মে ২০২৩