নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ, মনিপুর স্কুলে ফের অস্থিরতা
ঢাকা, ১৮ মে – উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকার মনোনীত প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ায় রাজধানীর মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে আবারও অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
গতকাল বুধবার স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডি সহকারী শিক্ষক মো. আখলাক আহমেদকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ায় আজ ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে গভর্নিং বডির প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার প্রতিবাদে শিক্ষকেরা মূল বালিকা শাখায় জড়ো হয়ে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
অন্যদিকে, গভর্নিং বডির লোকজন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে মনিপুরে জড়ো করেছেন। ফলে ওই এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আদালতের নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর স্কুলটিতে সিনিয়র শিক্ষক মো. জাকির হোসেনকে কয়েক মাস আগে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়। জাকির হোসেন যোগ দেয়ার পর অনিয়ম-দুর্নীতি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করেন। শিক্ষকদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করেন। সব মিলিয়ে সুবিধা করতে পারছিলেন না গভর্নিং বডি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার জাকির হোসেনকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
শিক্ষকেরা জানান, বর্তমান গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ২৩ মে। মেয়াদ শেষের আগ মুহূর্তে সরকার মনোনীত অধ্যক্ষকে বাদ দেয়ায় শিক্ষকেরা ক্ষুব্ধ। নতুন করে একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া নিয়ে সব শিক্ষক ক্লাস বর্জন করেছেন।
গতকাল এবং আজকেও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এখনও থমথমে পরিস্থিতি। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সরকার মনোনীত প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, আখলাক আহমেদকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার অর্পণ করতে হলে আমাকে বিধিমোতাবেক অব্যাহতি, বরখাস্ত বা সাসপেন্ড করতে হবে। কিন্তু আমাকে সাসপেন্ড বা অব্যাহতি দেয়ার এখতিয়ার সভাপতি মহোদয় ধারণ করেন না। তবুও অবৈধভাবে হলেও আমাকে কোনো প্রকার অব্যাহতি বা সাসপেন্ড করা হয়নি বা কোনো পত্রও দেয়া হয় নি। তাই বিধিমাফিক আমি মো. জাকির হোসেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে সতর্ক করা হলো।
মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, মনিপুর স্কুলের শিক্ষকরা আজ ক্লাস বর্জন করেছে। এখন তারা ভেতরে বক্তব্য দিচ্ছেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা কী রাস্তা অবরোধ করেছিল জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে তারা ক্যাম্পাসের ভেতরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ১৮ মে ২০২৩