সে তার কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে
ঢাকা, ১৬ মে – সত্তর দশকের জনপ্রিয় দুই হিরো ফারুক ও আলমগীর। তবে চলচ্চিত্র জগতের আসার আগে থেকেই খুব ভালো বন্ধু ছিলেন দুজন। কিন্তু সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিন্ন করে একজন চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
সোমবার (১৫ মে) সবাইকে কাঁদিয়ে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। বন্ধুর এমন চলে যাওয়াতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছন আরেক বন্ধু চিত্রনায়ক আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে হিরো ফারুক এবং হিরো আলমগীর হওয়ার অনেক আগে থেকেই আমরা পরিচিত। ১৯৬৪ সাল থেকে আমরা বন্ধু, আমরা ভাই। সে ৭০-এ নায়ক হয়েছে, আমি ৭২-এ। আমাদের ইতিহাসটা অনেক লম্বা। অনেক কথা আছে, স্মৃতি রয়েছে, পরে এক সময় বলব। এখন আসলে স্মৃতিচারণা করার মতো মন-মানসিকতা নেই আমার।’
বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে আলমগীর বলেন, ‘ফারুক নেই কথাটা ভাবতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে আমার, কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। গেল দুই বছর যাবত অসুস্থ অবস্থায় কষ্ট পাচ্ছিলেন ফারুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা চলাকালীন ভাবির সঙ্গে আমার প্রায় সময়ই কথা হতো। অসুস্থতায় ফারুক অনেক কষ্ট পাচ্ছিল। সে তার কষ্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ফারুকের সব গুনাহ মাফ করে তাকে জান্নাতবাসী করুক। ওর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
সেই সঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছেও চিত্রনায়ক ফারুকের জন্য দোয়া করার জন্য অনুরোধও জানিয়ছেন আলমগীর।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফারুক। সবশেষ ২০২১ সালের মার্চ থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে যান তিনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রথমে রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। এর কয়েক দিন পর তার মস্তিষ্কেও সংক্রমণ ধরা পড়ে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল ফারুকের। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, চলে গেলেন ওপারে।
আইএ/ ১৬ মে ২০২৩