উত্তর আমেরিকা

স্বদেশি ও বিদেশ শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিউশন ফি বৈষম্য

অটোয়া, ১০ মে – কানাডিয়ান শিক্ষার্থী ও বিদেশী শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি এর ব্যবধান প্রায় ছয় গুণের বেশি। তবে দেশটিতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হলেও এখনই টিউশন ফি কমানোর চিন্তা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

এ প্রসঙ্গে গত তিন মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত একাধিক ছাত্র সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সরকার কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেবে। সেক্ষেত্রে, উচ্চ টিউশন ফি দিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরাই কেবল কানাডায় শিক্ষা নিতে পারবেন। বিদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি কমানোর ব্যাপারে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।

গত পাঁচ বছরে কানাডায় অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিদেশী শিক্ষার্থীদের এক বছরে টিউশন ফি দিতে হয় প্রায় ৩৬ হাজার ১০০ ডলার। সেখানে কানাডিয়ান শিক্ষার্থীদের ব্যয় হয় মাত্র ৬ হাজার ৮০০ ডলার।

উল্লেখ্য, কানাডিয়ান সরকার বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। এর মধ্যে কাজের সুবিধা বৃদ্ধি ও পরবর্তীতে দেশটিতে নাগরিকত্ব অর্জনের সুবিধাও রয়েছে।

কানাডার এ বি এম কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. মো. বাতেন বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ লোক কানাডায় আসার জন্য প্রস্তুত। এখানে বিদেশি ছাত্রদের জন্য টিউশন ফি বেশি হলেও পড়াশুনা শেষে কানাডায় থাকার একটা সুযোগ দিয়েছে সরকার।

কলামিস্ট ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তাহে বিশ কর্ম ঘণ্টার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার, অনির্দিষ্ট সময় কাজ করার সুযোগ, পড়াশোনা শেষে স্থায়ী অভিবাসনের নীতিমালার সহজীকরণের কারণে কানাডার প্রতি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ক্রমেই বাড়ছে।

এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগেরি’র ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী সুব্রত কুমার দেব নাথ বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে সরকারের কাছে আমাদের দাবী যেন টিউশন ফি একটু কমানো হয়। এতে আমাদের পড়ালেখার ব্যয় বহন করা একটু সহজ হবে।

সূত্র: সমকাল
আইএ/ ১০ মে ২০২৩

Back to top button