বাংলায় ‘ব্যান’-এর পর উত্তরপ্রদেশে করমুক্ত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’, ট্যুইট যোগীর
নয়াদিল্লি, ০৯ মে – বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেনের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে ইতিমধ্যেই সব মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ছবির বিষয়বস্তু নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। এদিকে এই চলচ্চিত্র কিছু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করতে পারে বলেও মত একাংশের। এই আবহেই গতকাল নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ছবিকে পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের মধ্যে বাংলাই প্রথম রাজ্য যেখানে এই ছবি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হল। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পর মঙ্গলবার যোগীরাজ্যে এই ছবিকে সম্পূর্ণ করমুক্ত ঘোষণা করল উত্তর প্রদেশ সরকার।
মঙ্গলবার সকালে হিন্দিতে টুইট করে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানান, উত্তর প্রদেশের এই ছবিকে করমুক্ত ঘোষণা করা হবে। তিনি টুইটে লেখেন, “‘দ্য কেরালা স্টোরি’ উত্তর প্রদেশের করমুক্ত করা হবে।” তবে উত্তর প্রদেশই প্রথম রাজ্য নয়। এর আগে গত ৬ মে বিজেপি শাসিত মধ্য প্রদেশ সরকারও এই চলচ্চিত্রটিকে করমুক্ত ঘোষণা করে। আর আজ টুইট করে এই ছবিকে করমুক্ত করার কথা জানালেন যোগী আদিত্যনাথ। এদিকে উত্তরপ্রদেশ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। তিনি বলেন, “‘দ্য কেরালা স্টোরি’-কে করমুক্ত করা খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। আমি চাই উত্তর প্রদেশের মানুষ এই ছবিটি দেখুক এবং তাঁরা যাতে বুঝতে পারে, আমাদের বোনেরা কীভাবে কষ্ট পেয়েছে। আমরাও গিয়ে সিনেমাটি দেখব। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই ছবির ওপর নিষেধাজ্ঞা মেনে নেবেন না।”
এদিকে গতকালই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠকের পরই নবান্নের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, “রাজ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে পশ্চিমবঙ্গে ‘ দ্য কেরালা স্টোরি’ চলচ্চিত্রটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। এই সিনেমায় যেসব দৃশ্য দেখানো হয়েছে তা রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে আশঙ্কা করে কলকাতা-সহ সব জেলাতে এই ছবির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হল। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত।”
প্রসঙ্গত, কেরলের চার মহিলার গল্প তুলে ধরেছে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত এই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। এই ছবিতে দেখানো হয়েছে তাঁদের জোর করে ধর্মান্তকরণ করানো হয়েছে। লাভ জিহাদের মতো কিছু বিষয়ও উঠে এসেছে এই গল্পে। কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলার ধর্মান্তকরণ করিয়ে সিরিয়া ও আফগানিস্তানে ISIS-এর প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার গল্প দেখিয়েছে এই চলচ্চিত্র। আর এই বিষয় নিয়েই বিভিন্ন মহলে সমালোচনা কুড়িয়েছে এই চলচ্চিত্র।
সূত্র: টিভি নাইন
আইএ/ ০৯ মে ২০২৩