চাকরি দেওয়ার নামে দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ‘আত্মসাৎ’, কাঠগড়ায় TMC নেতা
কলকাতা, ০৭ মে – চাকরি দেওয়ার নাম করে দলের একাধিক নেতানেত্রীর কাছ থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ। কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞা। ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানান প্রতারিত দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। টাকা ফেরতের দাবি জানানো হয়েছে।
অভিযুক্ত পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন কুশমণ্ডি ব্লক তৃণমূল কিষাণ খেত মজদুরের সভাপতি অসরৎ আলি এবং বংশীহারী ব্লক মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা উমা রায়। তাঁদের অভিযোগ, শিক্ষক-সহ বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে দফায় দফায় কয়েকলক্ষ টাকা নিয়েছেন মফিজুদ্দিন। আত্মীয়স্বজনদের চাকরির জন্য সেই টাকা ওই অভিযুক্তকে দেন তারা। কিন্ত দীর্ঘ কয়েক বছরেও কারও চাকরি হয়নি। পরবর্তীতে টাকা ফেরতের দাবিতে বারবার মফিজুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। প্রথমে টাকা ফেরত দেবেন বলে জানান। তবে এখন অভিযোগকারীদের ফোন ধরেন না বলেই দাবি।
কুশমণ্ডি ব্লক তৃণমূল কিষাণ খেত মজদুরের সভাপতি আসরৎ আলি বলেন, ২০১৪ সালে বাম ছেড়ে তিনি তৃণমূলে আসেন। এরপর ব্লক কিষাণ খেত মজদুরের সভাপতি হন। সেসময় তাদের এই শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতি ছিলেন মফিজুদ্দিন মিঞা। তার আত্মীয় পরিজনদের চাকরির জন্য কয়েকবার ১১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন মফিজুদ্দিন। কিন্ত চাকরি দিতে পারেননি। টাকা ফেরত চাইছেন তারা। দলগতভাবে মিটে গেলে তারা আর পুলিশে যাবেন না। এনিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি ও চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
একইভাবে বংশীহারী ব্লক মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদিকা জানান, তিনি ভাগ্নির জন্য মোট ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চাইছেন। তবে এখন ফোন ধরছেন না। জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেটি পাঠানো হয়েছে। দলগতভাবে বসে বিষয়টি মেটানো হবে। অভিযোগকারীরা পুলিশ বা প্রশাসনের দারস্থ হবেন কিনা তা তাদের ব্যাপার।” তবে অভিযুক্ত জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঞা বলেন, তিনি অভিযোগকারীদের চেনেন না। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
আইএ/ ০৭ মে ২০২৩