ভরা বৈশাখে দিল্লিতে ঘন কুয়াশা, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি
নয়াদিল্লি, ০৪ মে – বৈশাখ মাসে চারদিকে ঘন কুয়াশা কিংবা তীব্র গরমের মধ্যেই শীতকালের মতো তাপমাত্রা। এমনটা কখনও ভাবা যায়? এ ধরনের আবহাওয়া কল্পনাও করা যায় না। কিন্তু পরিবেশের খামখেয়ালিপনায় এমনটাই দেখা গেল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে।
গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এমনিতেই রাজধানীর তাপমাত্রা কমে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সেই তাপমাত্রা নেমে ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রা যা থাকার কথা তারচেয়েও ৯ ডিগ্রি কম ছিল বৃহস্পতিবার সকালের তাপমাত্রা। বৈশাখে প্রকৃতি শীতের আমেজ ফিরিয়ে দিয়েছে দিল্লিকে। আবহাওয়া অফিস বলছে, ১৯৮২ সালের ২ মে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃহস্পতিবার সকালের তাপমাত্রা ছিল গত ৪১ বছরে সর্বনিম্ন।
গত মাসে দিল্লির তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রি ছিল। সেই তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ১৫ ডিগ্রিতে নেমে আসবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। কারণ এই সময়ে যেখানে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে যায়, সেখানে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এই পরিস্থিতিতে শীত শীত আমেজ ফিরে আসায় দিল্লিবাসী স্তম্ভিত, তবে আনন্দিতও বটে।
শুধু যে তাপমাত্রা কমেছে তা নয়, বৃহস্পতিবার সকালে পুরো রাজধানী ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে গিয়েছিল। আশেপাশের কোনো কিছুই ঠিকমতো দেখা যাচ্ছিল না। এর সঙ্গে সকালে হালকা বৃষ্টিও হয়েছে। ৩০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এর আগে এপ্রিলে ২০ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছিল। যা ২০১৭ সালের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকের থেকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি নিচে নেমে গেছে। গত রোববার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ২৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ছিল ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আরও একটি ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়ে আবহাওয়া অফিস। গত ৫ মে থেকে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এর প্রভাব পড়বে। এর প্রভাবে আগামী ৭ মে পর্যন্ত আকাশ মেঘলা থাকবে এবং মাঝেমাঝে বৃষ্টিও হতে পারে। এছাড়া ৮ মে পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির নিচে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০৪ মে ২০২৩